,

নবীগঞ্জের বৃটিশ নাগরিক স্বামীকে পাগল সাজিয়ে ৩ মাস মানষিক হাসপাতালে রেখেও শান্ত হয় নি স্ত্রী অবশেষে পুলিশকে অপহরনের মিথ্যা সংবাদ দিয়ে বিভ্রান্তি

এম.মুজিবুর রহমান ॥ নবীগঞ্জের দীঘলবাক ইউনিয়নের পুড়াদিয়া (নুরগাও) গ্রামের বৃটিশ নাগরিক রফিক আহমদ চৌধুরী (৫৭) নামের ব্যক্তির কোটি টাকার সম্পত্তি বাসা বাড়ি আত্মসাতের জের ধরে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে জোর পূর্বক পাগলখানায় ৩মাস আটক করে রেখেও শান্ত হয়নি মালেকা পারভিন নামের মহিলা ও তার লোকেরা। লন্ডন প্রবাসে রফিক আহমদ চৌধুরী বর্তমানে বসবাস (৩য় পৃষ্ঠায় দেখুন) করলেও তার স্বামীকে অপহরন করে বাড়িতে জোর পূর্বক আটক করে রাখার অভিযোগ এনে পুলিশকে ভূল তথ্য দিয়ে পুড়াদিয়া গ্রামে হানা দেয় তার স্ত্রী ও তার লোকেরা। নবীগঞ্জ থানা পুলিশ সরেজমিন পরির্দশন করে গত মঙ্গলবার সন্ধা অনুমান ৭টায় অপহরনের ঘটনার কথা অস্বীকার করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই সুধীন। অপরদিকে স্বামীর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি সিলেট শহরের ও লন্ডনের সম্পত্তি ঘ্রাস করার অপচেষ্টা মিশনে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন মালেকা পারভিন। এই সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহের কাজে সরেজমিন পরির্দশনকালে লন্ডন প্রবাসী রফিক আহমদ চৌধুরী বাড়িতে বসবাসরত তার বোন পিয়ারা বেগম ও তার স্বামী নোমান আহমদ জানান, ২০১৩ সালের ২৩ আগষ্ট সিলেট শহরের আরামবাগে ওই লন্ডন প্রবাসী তার বাসাতে থাকাকালিন অবস্থায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এর শাহ পরান থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়েও তার স্ত্রী ও চাচাতো বোনের জামাই তুলা মিয়া ও লোকজনের বিরোধে সাধারন ডায়েরী করেন। এর পর পরই ওই বৃটিশ নাগরিককে জোর পূর্বক হাত পা বেধেঁ পাগল সাজিয়ে সিলেট শহরের শাহ জালাল মানষিক হাসপাতালে প্রায় ৩মাস তাকে বন্ধি করে রাখে স্ত্রী মালেকা পারভিন। এ ঘটনায় সিলেটের স্থানীয় পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে একটি মানবাধিকার সংগঠনের সহযোগীতায় বৃটিশ নাগরিকের আত্মীয় স্বজনরা তাকে মুক্ত করলে পরে তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান। এ ছাড়াও প্রবাসে থেকেও তিনি স্ত্রী, শ্যালক সিলেট শহরের রায়নগরের বাসিন্দা সাবেক ছাত্র শিবির নেতা হাত কাটা নোমান ও তাদের লোকজনের ভয়ে এখনও তিনি ও তার পরিবার রয়েছেন চরম আতংকে বলে সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে আলাপকালে লন্ডন প্রবাসী রফিক আহমদ চৌধুরী জানান। তিনি আরো জানান, ১৯৭৪ ইংরেজী সনে ১৭মার্চ সিলেট শহরের রায়নগরের ওই মালেকা পারভিনকে তিনি বিয়ে করলে তার দাম্পত্য জীবনে ২মেয়ে ও ১ছেলে রয়েছে। তার স্ত্রী অবৈধ ফায়দা হাসিলে তার উপর চলছে এ বিশাল যড়যন্ত্র ও হত্যার হুমকি। এতে তার স্ত্রীকে সহযোগীতা করছে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ও জামাতা দীঘলবাক ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের তুলা মিয়া নামের ব্যক্তি, যার বিরোধে তিনি জিডি এন্ট্রিও করেছিলেন। এই ঘটনায় এলাকায় তুলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মূলত লন্ডন প্রবাসী গত ২৬ নভেম্বর দেশে আসলে গত ৮ ডিসেম্বর তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান।


     এই বিভাগের আরো খবর