,

গণমুখী সাংবাদিক শাহ মনসুর আলী নোমান এর একটি প্রতিবেদনে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ

আবারও গণমুখী সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষানুরাগী শাহ মনসুর আলী নোমান এর একটি প্রতিবেদনে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে। ‘হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কাজিরবাজার ব্রীজে গর্ত প্রাণনাশের আশঙ্কা’ শিরোনামের সচিত্র প্রতিবেদনটি গত ১২ নভেম্বর দেশের বিভিন্ন স্থানীয়, জাতীয় সংবাদপত্র, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হলে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজিনা সারওয়ার ‘উপজেলা প্রশাসন নবীগঞ্জ’ ফেইসবুক আইডি থেকে তার জবাবে জানান, বিষয়টি তিনি অবগত হওয়ার পর নবীগঞ্জ এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হলে উপজেলা প্রকৌশলী সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং আপাতত দ্রুত গতিতে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট মেম্বারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ২/৩ দিনের ভিতরে কাজটি শুরু হবে বলে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্বস্থ করেন। উল্লেখ্য, গণমুখী সাংবাদিক শাহ মনসুর আলী নোমান গত ১১ নভেম্বর এই বিষয়টি জানতে পেরে সরেজমিনে কাজির বাজার-আগনা নামক স্থানে অবস্থিত ব্রীজটি পরিদর্শন করে সচিত্র প্রতিবেদন ফেইসবুক সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশ করেন এবং নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সাংবাদিক নোমানের এ রকম গণমুখী প্রতিবেদন প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করায় তাকে সুধী সমাজের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। শাহ মনসুর আলী নোমান স্থানীয় জাতীয় বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিক্ষা, উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেদন লিখে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আনয়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তার বিভিন্ন প্রতিবেদনের আলোকে এলজিইডি’র সৌজন্যে ব্রীজ নির্মাণ, রাস্তাঘাট সংস্কার ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতীতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় খয়রাতি সাহায্য ও ত্রাণ প্রদান করা হয়েছে। সম্প্রতি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক এলাকায় কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন সংক্রান্ত সচিত্র প্রতিবেদন দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হলে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজিনা সারওয়ার ও হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ সরেজমিনে পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পান এবং দীঘলবাককে রক্ষাকল্পে একটি প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক প্রক্রিয়াধীন আছে। শাহ মনসুর আলী নোমানের ‘কুশিয়ারার ভাঙ্গন রোধ করুন’ শিরোনামের সচিত্র প্রতিবেদনটি সাপ্তাহিক ‘এই সময়’ পত্রিকার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, বর্ষ ০৩, সংখ্যা-৩৭ এ প্রকাশিত হলে তা সেরা লেখা হিসেবে মনোনয়ন লাভ করে এবং পুরস্কারের জন্য ঘোষিত হয়। শাহ মনসুর আলী নোমান ইতিপূর্বে ‘পত্রিকায় শুধু অপরাধীর ছবি প্রকাশ করা উচিত’ শিরোনামের প্রতিবেদনের জন্য জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকা থেকে অভিনন্দিত ও পুরষ্কৃত হন। মূলত: একজন মানবতাবাদী হিসেবে শাহ মনসুর আলী নোমান বিভিন্ন সমস্যায় জর্জড়িত প্রতিবেদন, নিপীড়িত ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন সমস্যা গণমাধ্যমে প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আনয়নে তিনি তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। গণমুখী সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী শাহ মনসুর আলী নোমান মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে ‘সম্মাননা স্মারক’ লাভ করেন। সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ঐদিন তাকে এই সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। তিনি তরুণ সমাজের উন্নয়নে বলিষ্ঠ অবদান রাখায় ১ নভেম্বর ২০১৬, জাতীয় যুব দিবসে বাংলাদেশ জাতীয় যুব উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে সম্মাননা লাভ করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী শাহ মনসুর আলী নোমান নর্থ ইষ্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ভি.সি মহোদয়ের পি.এস হিসেবে কর্মরত। তিনি সম্প্রতি সিলেট মেট্রোপলিটন ল’ কলেজ থেকে (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে) এলএল.বি পার্ট-১ (২০১৫) পরীক্ষায় ২য় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন এবং বর্তমানে তিনি এলএল.বি চূড়ান্তবর্ষে অধ্যয়নরত। শাহ মনসুর আলী নোমান বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট জেলা শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, দৈনিক খবর বাংলাদেশ ও মানবাধিকার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি, নবীগঞ্জ প্রেসকাব (হবিগঞ্জ) এর নির্বাহী সদস্য, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেট ও সিলেট রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও কর্মকান্ডের সহিত জড়িত।


     এই বিভাগের আরো খবর