,

কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে গরু দিয়ে ধান মাড়াইয়ের উৎসব

আলী হাছান লিটন ॥ কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে গরু দিয়ে ধান মাড়াইয়ের উৎসব। ধানের মৌসুমে নবীগঞ্জ উপজেলার আনাছে কানাছে দেখা যেত গরু দিয়ে ধান মাড়াইয়ের মহাউৎসব। উপজেলা প্রতিটি গ্রামে ঘুরলেই দেখা যেত কৃষকরা গোলাকারে ধান মাড়াই করছেন। কালের বিবর্তনে সেটা এখন অতীত। এখন মেশিন দিয়ে চলে ধান মাড়াইয়ের কাজ। বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামে এক সময় মহিষ অথবা গরুর গাড়ি ধান টানা হত। গ্রামের আকাবাকা মেঠো পথে ছন্দ মিলিয়ে যাওয়াতেই বুঝা যেত আসছে মহিষের গাড়ি। ধান মাড়াইয়ের পর বস্তাবন্দি করে তা মহিষ ও গরুর গাড়িতে করে বাড়ি ফিরতেন কৃষকরা। সারা রাত ধান মারাই করে ভোর রাতে বাড়ির উদ্দ্যেশে রওয়ানা হতেন গাড়ি নিয়ে। প্রায় প্রতিদিনই সেই গাড়ির মধুর শব্দে ঘুম ভাংঙ্গতো গ্রামের লোকজনের। এই ডিজিটাল যুগে আর সেই শব্দ আর শুনা যায়না। যেখানে গ্রামের রাস্তাঘাটে মহিষ ও গরুর গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো যানবাহনের কথা চিন্তাও করা যেত না সেখানে রাস্তা দিয়ে আজ ভটভটি, অটোরিকশা আর ভ্যানের দখলে। যার জন্য এখন আর কেউ মহিষের গাড়ি দিয়ে পন্য আনা নেয়া করেন না বেশীরভাগ। ব্যাবসায়ীদের ব্যাবসার পন্যসহ কৃষকের ধান সরবরাহ করেন এখন ইঞ্জিন চালিত গাড়ি দিয়ে। এক সময় গ্রামের বিয়েতে ব্যবহার করা হতো গরু ও মহিষের গাড়ি। বিশেষ করে বর-কনে বহনের কাজে ব্যবহার করা হতো এসব গাড়ি। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে গরু ও মহিষের গাড়ি শুধুই গল্প হয়েই থাকবে। বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী যে কোন কিছুই ধরে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর