,

দিনারপুরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ধ্বংসের মুখেদেখার যেন কেউ নেই

ছনি চৌধুরী ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার অন্যতম স্বনামধন্য পাহাড়ি অঞ্চল খ্যাত প্রাচীনতম পরগণা দিনারপুর ও অলিকুল শিরোমনি হযরত শাহ জালাল (রহঃ) সফরসঙ্গী হযরত শাহ মুশকিল আহসান (রহঃ) এর স্মৃতিধন্য এলাকার প্রাচীনতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দৃশ্য বিলুপ্ত প্রায়। তথ্যসূত্রে জানাযায়, বাংলাদেশের অনেক এলাকার লোকজন কালেকালে যুগে যুগে এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য লীলা পাহাড়ি অঞ্চলে অবসর সময়ে আনন্দ উল্লাস করে বনভোজনে দলবদ্ধভাবে আসতেন। এছাড়া অনেক তথ্য প্রতীয়মান যে অত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য লীলা স্থানে বাংলাদেশ চলচিত্র ও নাট্যকার দলের পরিচালকসহ অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী তাদের রুচিসম্মত শুটিং স্পটের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে দিনারপুর পাহাড়ি পরগণাকে বেছে নিতেন। কালের আবর্তনে স্থানীয় কিছু অসাধু লোকজনের অযতœ অবহেলার কারণে এই ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের লীলা অঞ্চলের আকর্ষনীয় স্থানগুলো বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এই ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি অঞ্চল অসচেতন অধিবাসীরা বিলুপ্ত করায় বড় বড় বন জঙ্গলের প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অন্যদিকে কিছু কু-চক্রের দালালরা সংবদ্ধভাবে রাতের আঁধারে মাস্টারপ্ল্যান করে এই অতুলনীয় দেশীয় প্রাকৃতিক মূল্যবান সম্পদ চুরি করে বিনষ্ট করে দিচ্ছে। প্রশাসনে চোখের সামনেই এই অসৎ লোকেরা পাহাড় কেটে বিলিন করে দিচ্ছে কিন্তু প্রশাসনের কোনো সক্রিয় ভূমিকা দেখছেন না পাহাড়ি এলাকার স্থানীয় লোকজন। পাহাড় কাটা নিয়ে একাধিক মামলা থাকলেও আইনের প্রয়োগ না থাকায় সেই সব গড ফাদাররা আইনের ছত্রছায়ায় থেকে একই কাজে জড়িয়ে পড়ছে তাতে অত্র ঐতিহ্যবাহী এলাকার ক্ষতি হচ্ছে। সময়ের পরিবর্তনে পাহাড়ি অঞ্চল দিনারপুরের ঐতিহ্য বিক্রি করে দিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যক্তি। এভাবে প্রাচীনকালের সম্পদ বিক্রি করা চলতে থাকলে দিনারপুর পরগণা ঐতিহ্যবিহীন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। প্রকৃতপক্ষে উক্ত এলাকার বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা গেল পাহাড়ি অঞ্চলের সুন্দর পরিবেশ রক্ষার্থে জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন বাস্তব তথ্য পাওয়ার পরিপেক্ষিতে পদক্ষেপের কথা বললেও মূলত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। দিনারপুর পরগণার লীলা ভূমিতে এক সময় ছিলেন এবং বর্তমানেও আছেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী, বানিজ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভণর”, সংসদ সদস্য, ৪নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার, বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযুদ্ধা, জাতীয় পত্রিকার সম্পাদক, স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক, জেলা পরিষদের প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং আরোও অসংখ্য ও জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও উক্ত পাহাড়ি এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের” ব্যাঘাত ঘটলে ও তাদের নিকট থেকে কোনো ইতিবাচক ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। যার ফলে উক্ত প্রাচীনতম দিনারপুর পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন পাহাড়, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য, বন জঙ্গল, হাওর-বাওড়, নদ-নদী, খালবিল, ডোবা, নালা সচেতন ব্যক্তিদের দৃষ্টি না দেওয়ার কারনে মূল্যবান এই দেশীয় সম্পদগুলি বিলুপ্তির পথে। মাঝে মধ্যে অত্র পাহাড়ি অঞ্চলের প্রবীণ ব্যক্তিদের নিকট থেকে প্রাচীন গল্প শুনলে বর্তমান দৃশ্যের সাথে তুলনা করলে বিরাট পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। প্রাচীনকালের গল্পতে আরো শোনা যায় এখানে প্রাচীনকালে অনেক রাজা এখানে রাজ্যত্ব করতেন। রাজাদের শাসনকালে উক্ত এলাকার প্রজাদের মধ্যে অনেক মৌলিক অধিকারের আলো শূন্যহীনতার কারনে এলাকার পরিবেশ বিরাজ করিলে কালক্রমে রাজাদের রাজ্যত্ব বিলুপ্ত হতে থাকে। ঐতিহ্যবাহী দিনারপুর পরগনার সচেতন নাগরিক সমাজ দেশীয় এই প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার্থে পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর