,

জেলা পরিষদ নির্বাচনে একক প্রার্থী রাখতে চায় আ’লীগ

সময় ডেস্ক ॥ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ প্রার্থী হলে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছে আওয়ামীলীগ। দলের নীতি নির্ধারকেরা আশা করছেন, শেষ পর্যন্ত সবাই দলের সিদ্ধান্তই মেনে নেবেন। এরপরও কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাকে বহিস্কার করা হতে পারে বলেও হুঁশিয়ার করেছে হাই কমান্ড। জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে ৬১ প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। গণভবনে দুদিনের যাচাই-বাছাই শেষে শুক্রবার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনটি সংস্থার জরিপ ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের প্রতিবেদনেই সমর্থন দেয়া হয়েছে জানালেও, বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি ওবায়দুল কাদের। তবে এরই মধ্যে জামালপুর, সুনামগঞ্জসহ বেশকটি জেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দলের নেতারা। হয়েছে সড়ক অবরোধ এবং বিক্ষোভও। জবাবে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে বিরত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন তারা। একজন বিদ্রোহী প্রার্থী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন এটা কোন দলীয় নির্বাচন নয়। এর জন্য কেবলমাত্র একজনকে সমর্থন দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের অন্যান্য প্রার্থীরাও এখানে অংশগ্রহণ করতে পারবে। সেই হিসাবে এই নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি’। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ যারা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আছেন, জেলা পর্যায়ে যেসব নেতা আছে তাদেরকে দিয়ে আমরা বুঝানোর চেষ্টা করব। যেন তারা দলের প্রতি অনুগত থাকে।’ দলের মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে পরিণতি ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন কেন্দ্রের নেতারা। তফসিল অনুযায়ী ২৮শে ডিসেম্বর হবে ভোট। সেদিন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ১৫ সদস্য ও সংরক্ষিত পাঁচ নারী সদস্য নির্বাচন করবেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।


     এই বিভাগের আরো খবর