,

এমপিরা যখন মামলার আসামি

সময় ডেস্ক ॥ মামলা আর নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে এখন সংবাদ শিরোনাম হচ্ছেন এমপিরাও। যারা আইনপ্রণেতা তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা হচ্ছে। এর মধ্যে আছে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলা। রয়েছে প্রতারণা, জালিয়াতি, আইন অমান্য, অবৈধ সম্পদ অর্জন, জমিদখল, অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ, নিয়োগ জালিয়াতি ও শ্লীলতাহানির মামলাও। সাধারণ ভুক্তভোগী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরাও এসব মামলা দায়ের করেছেন। গত তিন বছরে মামলায় পড়ে আলোচনা-সমালোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন প্রায় দুই ডজন সংসদ সদস্য। এর মধ্যে দশম জাতীয় সংসদেরই এমপি রয়েছেন অন্তত ২০ জন। এর মধ্যে কারাগারে দুজন। জামিনে রয়েছেন কয়েকজন। মামলা থাকা এসব এমপির মধ্যে রয়েছেন পুরনোরাও। এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে মামলা হওয়া মানেই তাকে দোষী বলা যাবে না। তবে ক্ষমতাবান এমপির বিরুদ্ধে যখন মামলা হয়, তা অনেকটাই ভিন্ন। এজন্য অন্য দেশের মতো আমাদের এখানেও এমপির বিরুদ্ধে যখন এ ধরনের মামলা হয়, তখন সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের পদত্যাগ করা উচিত। কারণ এখানে সংসদের ভাবমূর্তিও জড়িত। এ ক্ষেত্রে সংসদেরও উচিত, এমপিদের জবাবদিহিতায় আনা। ’ সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের মতে, ‘তরুণদের চোখে এমপিরা আদর্শ। তারা আদশচ্যুত হওয়াটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এমপিদের বিরুদ্ধে মামলা হলে তা যেন কোনোভাবেই প্রভাবিত না হয়, ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পান, তা নিশ্চিত করা উচিত। সংসদের দুটি কমিটির পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও এমপিদের জবাবদিহিতায় আনতে হবে। ’ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর দায়ের হওয়া মামলা প্রসঙ্গে সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, ‘চারজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। এগুলো দুদকের দায়ের করা। এগুলো আইনিভাবে চলবে।


     এই বিভাগের আরো খবর