,

মন্ত্রণালয়ে ফাইলের স্তুপ স্থবির হচ্ছে প্রশাসনযন্ত্র

সময় ডেস্ক ॥ মন্ত্রণালয়ে আবারও জমছে ফাইলের স্তুপ। কাজের গতি হারাচ্ছে। ক্রমান্বয়ে স্থবির হয়ে পড়ছে প্রশাসন যন্ত্র। সচিবালয়ের নির্দেশিকা মানার বালাই নেই। ইতোপূর্বে জারি করা চার্টার একাউন্ট পরিণত হয়েছে কাগুজে নির্দেশনায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের সদিচ্ছা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া আন্তঃমন্ত্রণালয় ও অন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় না থাকায়ও মন্ত্রণালয়ের কাজ কর্মে স্থবিরতা সৃষ্টি করছে। এর দায়-দায়িত্ব মন্ত্রিসভা তথা সরকারের ওপর বর্তাচ্ছে। এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান বলেছিলেন, প্রশাসনকে গতিশীল করতে এখনও পর্যন্ত উপযুক্ত কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। তবে গতিশীল করতে হলে সবার আগে দরকার প্রশাসনিক সংস্কার। সংস্কার ছাড়া প্রশাসনকে গতিশীল করা কঠিন। তিনি বলেন, প্রশাসনিক সংস্কারের লক্ষ্যে ইতোপূর্বে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। অন্তঃগত এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করলেও প্রশাসন অনেকটা গতিশীল হতো। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রশাসনকে গতিশীল করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরুতেই সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রশসনকে গতিশীল করতে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রশাসনকে গতিশীল করতে সচিবদের উদ্দেশে চিঠি পাঠানো হয়। সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করলে কয়েকদিন ফাইল একটু গতিতে চললেও অল্প দিনে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। ইতোপূর্বে মন্ত্রিপরিষদ সচিব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফাইল নিষ্পত্তি করতে সচিবদের লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন। এতে বলা হয় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফাইল নিষ্পত্তি না করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। অধস্তন অফিসগুলোতেও সচিবালয় নির্দেশমালার অনুরূপ সময়সীমার মধ্যে ফাইল নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের এই নির্দেশের পরও সচিবালয়ে নির্দেশিকা মানা হচ্ছে না। নির্দেশনা অনুযায়ী ফাইল নিষ্পত্তি হচ্ছেই না। আলাপ করুণ কালচারে ফাইল ঘুরছে মাসের পর মাস। কেউ যেন দায়িত্ব নিতে চান না। যে ফাইল যুগ্ম-সচিব পর্যায়ে নিষ্পত্তি হওয়ার যোগ্য তা পাঠানো হচ্ছে সচিবের কাছে। আবার সচিবের নিষ্পত্তি করার ক্ষমতাসম্পন্ন ফাইল পাঠানো হচ্ছে মন্ত্রীর দফতরে। কোন কোন ক্ষেত্রে মন্ত্রীরাও দায়িত্ব এড়াতে ফাইল পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এতে কোন কোন সচিবকে দিনে দেড় থেকে দুই শত ফাইলও স্বাক্ষর করতে হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নির্দেশ দিলেও তা পর্যবেক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই। প্রশাসনকে গতিশীল করতে জনপ্রশাসন সচিবকে সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করার বিধান থাকলেও তা করা হয় না।


     এই বিভাগের আরো খবর