সময় ডেস্ক ॥ দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের যুদ্ধজাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের একটি মনুষ্যবিহীন (ড্রোন) সাবমেরিন আটক করেছে। এবিষয়ে শুক্রবার চীনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে পেন্টাগন। এটি এমন একটি ঘটনা যা এই অঞ্চলে দুই বিশ্বশক্তির মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের অনলাইন সংস্করণের খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার মার্কিন ড্রোন সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়। মার্কিন নেভির জাহাজ বাওডিচ-এর একজন অপারেটর যখন সাবমেরিনটিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছিলেন তখনই সেটির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, বাওডিচ হলো একটি সমুদ্রবিজ্ঞান সম্পর্কিত জাহাজ এবং সেটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় গবেষণার কাজে নিয়োজিত ছিলো। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, তারা বোঝার চেষ্টা করছেন যে, চীনের এই ড্রোন আটকের বিষয়টি নিছক নাবিকদের নেয়া সিদ্ধান্ত, নাকি সেটা ঊর্ধ্বতন চীনা কর্মকর্তাদের নির্দেশে নেয়া কৌশলগত কোন তৎপরতা। পেন্টাগন বলেছে, ঘটনা যেটাই হোক, ওই ড্রোন আটকের কোনও অধিকার চীনের নেই। পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস বলেন, এ ধরণের কর্মকান্ড আমরা কোন পেশাদার নৌ-বাহিনীর কাছ থেকে আশা করি না। মাত্র এক সপ্তাহ সময়ের মধ্যে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে এমন দ্বিতীয় ঘটনা এটি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার চীন আভাস দেয় যে, যে কোনও হুমকি মোকাবিলায় দেশটি দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত দ্বীপে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। সর্বশেষ ড্রোন আটকের ঘটনাটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইতিমধ্যেই তীক্ত হয়ে ওঠা সম্পর্ক আরও জটিল করে তুলবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের ফোন কল গ্রহণ করার মাধ্যমে চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে জটিল করে তোলেন। ওই ঘটনায় চীনা নেতারা ক্ষুব্ধ হন। চীন তাইওয়ানকে নিজের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলে মনে করে। এছাড়া গত রোববার এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বাণিজ্য নীতি, দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ড ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে দেশটির সমালোচনা করেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা শুক্রবার বলেন, তারা অনুধাবনের চেষ্টা করছেন যে, চীনের মার্কিন ড্রোন আটকের সঙ্গে ট্রাম্পের বক্তব্যের কোনও সম্পর্ক আছে কিনা।