,

হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন ॥ সদস্য নির্বাচিত হলেন যারা ॥ এক ডজন প্রার্থীর ভোটের ঝুলি শূণ্য

মোঃ সেলিম তালুকদার ॥ বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা মধ্য দিয়ে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাব চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। নবীগঞ্জ উপজেলাকে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের ৪,৫ ও ৬ নাম্বার সাধারণ ওয়ার্ডে অন্তভূক্ত করা হয়। ৬নং ওয়ার্ডের সাথে বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নটি সংযুক্ত করা হয়। ৪নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র ছিলো ইনাতগঞ্জ হাইস্কুল, ৫নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ শহরের হিরা মিয়া গার্লস স্কুল এবং ৬নং ওয়ার্ডের গোপলার বাজার হাই স্কুল। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নবীগঞ্জের ৪,৫ ও ৬ নাম্বার সাধারণ ওয়ার্ডে ১৭ জন এবং ১টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। একক প্রার্থী হওয়ায় জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক প্রশাসক ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরীকে ইতিমধ্যে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয় পরিষদের “চেয়ারম্যান” হিসেবে। ৪নং সাধারণ ওয়ার্ডে আব্দুল মতিন আছাদ (হাতি) প্রতীকে ২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী জামাল চৌধুরী পেয়েছেন ১৮ ভোট। এ ওয়ার্ডে মোট ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। ৫নং ওয়ার্ডে তুমুল প্রতিদ্বন্ধিতার মধ্যে আব্দুল মালিক তালা প্রতীকে ২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি শেখ মোঃ শফিকুজ্জামান চৌধুরী শিপন পেয়েছেন ২৪ ভোট পেয়েছেন। এ ওয়ার্ডে মোট ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৬নং ওয়ার্ডে জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট সুলতান মাহমুদ টিউবওয়েল প্রতীকে ৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আবুল খায়ের গোলাপ পেয়েছেন ১৬ ভোট। এ ওয়ার্ডে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে লন্ডন প্রবাসী তরুনা বাহার হোসাইন কলিকে (দোয়াত কলম) বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিরিন আক্তার (হরিণ)। তিনি পেয়েছেন ১শত ৫৪ ভোট আর তরুনা বাহার হোসাইন কলি পেয়েছে ৩৭ ভোট। এছাড়া হবিগঞ্জ- সাধারণ ১নং ওয়ার্ডে (আজমীরীগঞ্জ) নামজুল হাসান, ২নং ওয়ার্ডে (বানিয়াচং) মনির হোসেন খান, ৩নং ওয়ার্ডে (বানিয়াচং) আশিক মিয়া, ৭নং ওয়ার্ডে (বাহুবল) আলাউর রহমান সাহেদ, ৮ নং ওয়ার্ডে (হবিগঞ্জ সদর) নুরুল আমীন ওসমান, ৯নং ওয়ার্ড (হবিগঞ্জ সদর) আব্দুল মুকিত, ১০নং ওয়ার্ডে (শায়েস্তাগঞ্জ) আব্দুল রশিদ তালুকদার ইকবাল, ১১নং ওয়ার্ডে (লাখাই) মুরশেদ কামাল নির্বাচিত হয়েছেন। ১২ নং ওয়ার্ডে (চুনারুঘাট) মামলা জটিলতায় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। ১৩নং ওয়ার্ডে (চুনারুঘাট) ফরিদ আহমেদ তালুকদার (অটোরিক্সা) মোঃ মামুনুর রশীদ (তালা) প্রতীকে সমান সংখ্যাক ভোট পেয়েছেন। পরে লটারীর মাধ্যমে ফরিদ আহমেদ তালুকদার নির্বাচিত হন। ১৪নং ওয়ার্ডে (মাধবপুর) সৈয়দ মোঃ শামীম, ১৫নং ওয়ার্ডে (মাধবপুর) মহিউদ্দিন কামাল, সংরক্ষিত আসন হবিগঞ্জ-১ এ রৌশনারা আক্তার লাকী, হবিগঞ্জ-৩ এ মোছাঃ আলেয়া বেগম, হবিগঞ্জ-৪ ছলেহা আক্তার। হবিগঞ্জ-৫ এ ফাতেমা তুজ জহুরা রিনা নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বোচ্চ ভোট যাদের- ১০ নং ওয়ার্ডের আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল। তার প্রাপ্ত ভোট ৪৭ ও ২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের শিরীন আক্তার। তার প্রাপ্ত ভোট ১৫৪। এবারের নির্বাচনে ১শ জন প্রার্থীর মধ্যে তারাই সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। শূণ্য ভোটের তান্ডব- জেলা পরিষদের নির্বাচনে এক ডজন প্রার্থীর ভোটের ঝুলি শূণ্য। এ যেন এক শূণ্য ভোটের তান্ডব। একটি ভোটও যাদের ভাগ্যে জুটেনি তারা হলেন, ২নং ওয়ার্ডে শাহাব উদ্দিন, মজিবুর রহমান ও আব্দুল আলীম, ৪নং ওয়ার্ডে নুরুল আমিন পাঠান, ৫নং ওয়ার্ডে আজিজুল হক চৌধুরী ও আব্দুল মুহিত, ৭নং ওয়ার্ডে হাজী ফিরোজ মিয়া, ৮নং ওয়ার্ডে জহিরুল ইসলাম সেলিম, ৯নং ওয়ার্ডে মফিল উদ্দিন, ১১ নং ওয়ার্ডে কাউছার আহমেদ এবং ১৪ নং ওয়ার্ডে আজিজ মিয়া ও শফিউল আলম।


     এই বিভাগের আরো খবর