,

সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক তছনু’র পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি ॥ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে দিন দুপুরে অবৈধ ট্রাক্টর দিয়ে পথরোধ করে গাড়ি চাপা দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দ্যেশে ব্যর্থ হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বেধরক মারপিট করে সাথে থাকা ক্যামেরা, ল্যাপটপ সহ নগদ টাকা পয়সা নিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ হাসাপাতালে প্রেরণ করলে সেখানকার চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সাংবাদিক তছনু চৌধুরী এখনোও আশংখা মুক্ত নয়। ডাক্তার বলেছেন, তার মাথা থেকে অনেক রক্ত ক্ষরন হয়েছে তাই সে সুস্থ্য হতে অনেক সময় লাগবে। দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে তার মাথায় সঠিকভাবে কাজ করছে না। অপরদিকে, মামলার অন্যান্য আসামীরা আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে জামিনে বেরিয়ে এসে এলাকার বিভিন্ন স্থানে তছনু’র আত্মীয় স্বজনদের খোঁজাখোজি করে না পেয়ে এক জোট হয়ে গতকাল সন্ধায় বাংলা বাজারস্থ প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে যে, তছনুর মতো তার পরিবারের লোকজনকে হত্যা করার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। সাংবাদিক পরিবারের লোকজন প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। স্থানীয়রা তছনুকে উদ্বার করে নবীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মাথায় ১৪টি সেলাই দিলে তার অবস্থার অবনতি দেখে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুত্বর অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নবীগঞ্জ থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে মামলার প্রধান আসামী এনাতাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের পুত্র আবুল হোসেনকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে সোর্পদ করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পরদিন বুধবার সকালে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে হবিগঞ্জ কোর্টে পাঠালে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে হবিগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করেন। এদিকে তছনু সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর গত বুধবার দুপুরে তার মাথায় সিটিস্ক্যান মেডিক্যাল চেকাপ শেষ হলে ডাক্তার রিপোর্ট দেখে বলেছেন, রোগী এখনো আশংখামুক্ত নয়।


     এই বিভাগের আরো খবর