,

দুর্গম পথে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য চা-শ্রমিকদের জন্য ভ্যানগাড়ি দিলেন এমপি কেয়া চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে শেখ হাসিনা সরকার কাজ করছে। এতে এ মৃত্যুর হার অনেকাংশে হৃাস পেয়েছে। এদিকে জেলার বাহুবল উপজেলার পাহাড়ি টিলা আর ঢালু উচুঁস্থানে গড়ে উঠা চা-বাগানগুলোতে সচেতনতার অভাব ছিল। এ কারণে অনেক মা মারা গেছেন। বিষয়টি নজরে আসে এমপি কেয়ার চৌধুরীর। তিনি কাজ শুরু করেন। বাগানে বাগানে তিনি বিনামূল্যে সরকারী ঔষধ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। বাগানের মেহনতি শ্রমিকদের জীবনযাত্রায় আরও গতি বাড়াতে তিনি উন্নয়নমূলক বরাদ্দ দিচ্ছেন। বিশুদ্ধ পানির জন্য স্থাপন করে দিচ্ছেন গভীর নলকূপ। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বাগানে বাগানে ভ্যানগাড়ি বিতরণ করেছেন। কোন গর্ভবতি নারী অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসালয়ে নিয়ে যেতে এ গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন শ্রমিকরা। এছাড়া প্রয়োজনে এসব মাদেরকে এ গাড়ি করে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পথ সহজ হলো। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উপহার হিসেবে এসব ভ্যানগাড়ি শ্রমিকদের হাতে তিনি তুলে দেন। গাড়িগুলো পেয়ে আনন্দ উল্লাস করেছে বাগানবাসী। তারা মনে করেন কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাৎক্ষণিক এ গাড়ি দিয়ে দ্রুত চিকিৎসালয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা হবে। এসব গাড়ি বিতরণকালে এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন, বাগানে সব সময় গাড়ি পাওয়া যায় না। তাই গর্ভবতি মা ও শ্রমিকরা কেউ অসুস্থ হলে এ ভ্যানগাড়ি কাজে আসবে। তিনি বলেন- বাগানের শ্রমিকরা পরিশ্রমী। তাদের জীবনযাত্রায় আরও অগ্রগতি নিয়ে আসতে বর্তমান সরকারের হয়ে আমি কাজ করছি। তিনি বলেন- মাতৃমৃত্যু কমাতে এ পর্যন্ত ৯টি ভ্যানগাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বিতরণ করা হবে। চিন্তার কোন কারণ নেই। কোন মাকে বিনা চিকিৎসায় মরতে দেয়া হবে না। তিনি আরও বলেন- শুধু তাই নয়, শ্রমিকদের জন্য বাহুবল হাসপাতালে একটি এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসেছি। এসব গাড়ি বিতরণকালে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ, বাগান কর্তৃপক্ষ, আওয়ামীলী পরিবারের নেতাকর্মী, শত শত শ্রমিকসহ তৃণমূলের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। আলাপকালে শ্রমিকরা বলেন- এমপি কেয়া চৌধুরী, আমাদের পাশে রয়েছেন। তার ন্যায় আমাদের খোঁজ খবর আর তেমন কেউ নেয় না। তাই আমরা কেয়া চৌধুরীকে ভালবাসি। ওনার বাবা কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী আমাদের পাশে ছিলেন। তিনি আমাদের ছাড়াও তৃণমূলের উন্নয়নে কাজ করছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর