,

মানসিক রোগীদের জন্য ক্যাপ ফাউন্ডেশনের প্রকল্প গ্রহণ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি \ বৃটেনে বসবাসকারী একদল প্রবাসী বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করতে গঠন করেছিলেন ক্যাপ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা। ৪ বছর পূর্বেচাতকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে সিলেট বিভাগের পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নেত্রকোণা জেলার ২৭টি উপজেলায় এর কার্যক্রম বিস্তৃত। ৪ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। এতে কয়েক হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছে। ক্যাপ ফাউন্ডেশন এবার মানসিক রোগীদের জন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ১৯ জানুয়ারী সিলেট শহরে একটি মানসিন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন হবে। পরবর্তিতে হবিগঞ্জ শহরেও এ ধরনের একটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর পাশাপাশি চলতি মাসে ক্যাপ ফাউন্ডেশনের প্রকল্পভুক্ত এলাকায় ২৯টি পরিবারকে ঘর, ৯১টি টিউবওয়েল, ৫৬টি স্যানিটেশন লেট্রিন, ৬৫টি রিক্সা ও ১১০টি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে। গতকাল রাতে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপ ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ বৃটেন থেকে ঢাকা শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নেমেই একটি বাস নিয়ে সরাসরি চলে আসেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে। সেখানে তারা সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামান করে জানান, ক্যাপ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল একটি উপজেলায়। বর্তমানে প্রকল্পভুক্ত এলাকা ২৭টি উপজেলা। ভবিষ্যতে সারাদেশেই এর কার্যক্রম বিস্তৃত হবে। দারিদ্র বিমোচনের পাশাপাশি স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতেই বেশী আগ্রহী তারা। বিশেষ করে রবিবার তাদের একটি টিম লাখাই উপজেলায় গিয়ে একই জলাশয়ে টয়লেট ও বাসন -কোসন পরিস্কারের চিত্র দেখে তারা হতবাক হওয়ার কথাও জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ক্যাপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুস সহিদ মুহিত, ফাউন্ডর ও সিইও আ. নুর, ট্রাস্টি আব্দুল মজিদ, শাহেদ চৌধুরী, উপদেষ্টা ফারুক মিয়া, হেড অব উইমেন পলি ইসলাম, চ্যানেল এস এর প্রেজেন্টার হেনা আহমেদ, ইমরান খান, মো. তোহেল, জেনি খানম, রাফিয়া মিয়া, মেঘনা উদ্দিন, বিলকিছ মোরাদ, আফিয়া সামাদ, দেলোয়ার হোসেন, রাসেল আহমেদ, কাজল মাহবুবব, শামীম আহমদ, শামিম মিয়া, নুরুল হক টিপু ও আবু তাহের সুমন।


     এই বিভাগের আরো খবর