,

হবিগঞ্জস্থ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার \ ‘এসো মিলি প্রাণের টানে’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে হবিগঞ্জে হবিগঞ্জস্থ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পুর্নমিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার সারাদিন আনন্দে মেতে উঠেছিলেন ৩ শত প্রাক্তন শিক্ষার্থী। শুক্রবার রাতে যখন সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান শুরু হয় তখন সকলেই ফিরে গিয়েছিলেন ক্যাম্পাস জীবনে। নেচে-গেয়ে মাত করে দেন সবাই। আর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য শাটল ট্রেন এর ছবি দেখে নিজেরা ক্যাম্পাসেই আছেন বলে অনুভব করেন। এর আগে শুক্রবার সকালে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরে বের করা হয়। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পুর্ণমিলনী অনুষ্ঠানের আহŸায়ক সফিকুল বারী চৌধুরী আওয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রোকন উদ্দিন, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তাফা রফিকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। রাতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব অশোক মাধব রায় বলেন, এক সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হবিগঞ্জের শিক্ষার্থীরা সকল ক্ষেত্রেই নেতৃত্ব দিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিকে ধারন করে জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠান আয়োজন এই প্রথম। অনুষ্ঠানে ৪ মরহুম ছাত্র এড. সামছুদ্দির আহমেদ রানা, ড. মঞ্জুরে এলাহী তরফদার, এড. মোহাম্মদ আব্দুল­াহ ও শাহ আফজাল আহমেদ এর পরিবারকে সম্মাননা জানানো হয়। সামছুদ্দিন রানার মেয়ে রুহছানিয়া রোহান রুনিয়া অনাস ও মাস্টার্স পরীক্ষায় ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অর্জন করায় ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মরহুম শাহ আবিদুর রহমানের ৫ মেয়ের সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তার স্ত্রীর হাতেও একটি ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। এছাড়াও পিঠা উৎসবসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করা হয়। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে সফিকুল বারী আওয়ালকে আহবায় করে একটি আহবায়ক কমিটিও গঠন করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর