,

চুনারুঘাটের নদীতে ভাসছে সরকারী ঔষধ

জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিনামুল্যে সরবরাহ করা ঔষধ মিলল খোয়াই নদীতে। হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক বা সরকারী স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীরা পান না তাদের চাহিদা মতো ঔষধ। অথচ সেই ঔষধ মিলল নদীতে। তাও আবার অনেক ঔষধের মেয়াদই নেই। এ নিয়ে দেখা দিয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন! আবার একদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে ঔষধগুলো তাদের নয়, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের হবে, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ বলছে ঔষধগুলো তাদের নয় স্বাস্থ্য বিভাগের হবে। এক দপ্তর আরেক দপ্তরের ঔষধ বলে গা-বাচানোর চেষ্টায় লিপ্ত। ঔষধগুলো তাহলে কার! এমন প্রশ্ন ঘুরপাক কাচ্ছে এখন সর্বত্র। জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের হাসরগাঁও এলাকার খোয়াই নদীতে ভাসছে বিভিন্ন গ্র“পের বিপুল পরিমান সরকারী ঔষধ। আর এসব ঔষধ হাতের নাগালে বিনা মূল্যে পেয়ে আশপাশ এলাকার লোকজন দেদারছে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন সেবনের জন্য। কিন্তু যারা এসব ঔষধ কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের অনেকেরই অজানা ওই ঔষুধগুলোর অধিকাংশই মেয়াদউত্তীর্ন। ফলে ভুলবশত কারনে এসব ঔষুধ সেবনের পরবর্তি সময় নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয় সচেতন মহলে। ঔষুধগুলোর আনুমানিক মূল্য লক্ষাধিক টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, উপজেলা সদরের গোলগাও সংলগ্ন খেয়াঘাট পারে মরা খোয়াই নদীর হাসারগাও নদীতে কয়েক দিন ধরে ভাসছে লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন গ্র“পের সরকারী ঔষধ। ঔষুধগুলোর মধ্যে ডায়জিপাম, সিপ্রো-এ ৫০০, ক্যাপসুল এ্যামোক্সিলিন, এ্যালবেনডাজল ৪০০ মিঃগ্রাঃ, প্যারাসিটামল বিপি, এন্টাসিড ইত্যাদি। এসব ঔষধের মধ্যে অনেকগুলোর গায়ে লেখা রয়েছে, “পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সম্পদ, ক্রয় বিক্রয় আইনত দন্ডনীয়”। ঘটনাস্থল থেকে আশপাশের গ্রামের লোকজন যার যার চাহিদা অনুযায়ী সেবনের জন্য এসব ঔষুধ নিয়ে যেতে দেখা গেছে। কিন্তু তারা জানে না ঔষধ গুলোর মধ্যে বেশ কিছু ঔষধ অনেক আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এসব ঔষধ সেবনের ফলে যে কোন মূহুর্তে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা এমনটি ভাবছেন সচেতন মহল। প্রত্যক্ষদর্শী মাসুক মিয়া বলেন, কৃষি কাজের জন্য নদীর পারে যাই। সেখানে নদীর পাড়ে কাঁদায় অসংখ্য ঔষধ পরে থাকতে দেখে অন্যদের মতো আমিও কিছু ঔষধ বাড়ি নিয়ে আসি। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ দেবাশিষ দাস জানান, এই ওষুধগুলো আমাদের নয়। এগুলো পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জন্য সরবরাহ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নাসিমা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত নই। খোঁজ নিয়ে দেখব। আর আমাদের এখানেতো সব সময়ই ঔষধের সংকট তাকে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগই নেই। যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর