,

অদৃশ্য চিৎকার!

সু-শিক্ষার অভাবে, কুশিক্ষার প্রভাবে মনুষ্যত্ব যখন ক্ষয় হতে থাকে, কিছু মানুষ তখন মানুষ হতে দানব হয়ে যায়। দানবের নির্মম ছোবলে দেশ পুড়ে, সমাজ পুড়ে। দূর্ত রাজনীতিবিদ আর সুবিধা ভোগী সুশীলদের খামছিতে মায়ের বুকে রক্ত ঝরে। মানবতাকে খুরে-খুরে চিবিয়ে খাচ্ছে নব-নব পিশাচেরা। অবাক চোখে চেয়ে চেয়ে দেখি কত না দুঃসহ দৃশ্য; মোরা মানুষ নামের অমানুষেরা। আমরা মানুষ অর্ধমৃত? না পূর্ণমৃত? নাকি জীবন্ত মৃত? তা আমি জানি না। পৃথিবীটা ক্রমশঃ তলিয়ে চলে যাচ্ছে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎের দিকে। যে দিকে তাকাই সে দিকেই শুধু অন্যায়,জুলুম অত্যাচার; ঘৃণ্য ব্যবিচার আর টগবগে রক্তের হোলি খেলা। প্রগতির নামে নারী নৃত্য, অশ্লীলতা, বেহায়াপনায় মত্ত হয়ে আধুনিকতার দোহাই দিয়ে মা-বোনের জীবন করছে নাশ। জঙ্গিবাদের ধুয়া তুলে লাখো লাখো মানুষ করছে নিষ্পেষিত, নিগৃহীত; হচ্ছে বেওয়ারিশ লাশ। কুকুর, শৃগাল আর শুকুনেরা মনানন্দে করছে উল­াস। তা দেখে ধরনী অব্যক্ত যন্ত্রণায় ছটফট করে এবং মাঝে-মধ্যে ফুঁসে উঠে। তার তপ্ত শ্বাসে ভেসে উঠে অগ্নীঝরা বাণী–সত্যের প্রতীক আছো ওরে কে? লাথি মার ওদের নাকে-মুখে। আগুন জ্বালা,আগুন জ্বালা, ভেঙ্গে ফেলো উঁচুতলা। তুলে ফেল বিষ দাঁত। একটু শান্তি চাই। ওরা নিপাত যাক। আফসোস, ওদের হৃদয় স্তব্ধ, মুখ বন্ধ,কান বধির, চোখ অন্ধ, ওরা কিছুই দেখে না, কিছুই বুঝে না; ওরা অভিশপ্ত। তাই অশান্তিময় পৃথিবীকে প্রশান্তি দিতে হলে অতীব প্রয়োজন, শ্রষ্টাকৃত বিধানে অবগাহন, অনুশীলন এবং পুর্ণ বাস্তবায়ন। না হয় চেষ্টা হবে ব্যর্থ; মিছে হবে সব আয়োজন।

– ফরিদ আহমেদ
মুক্তমনা লেখক।


     এই বিভাগের আরো খবর