,

মাধবপুরে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার

মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ মাধবপুর উপজেলার হরিণখোলা গ্রামে পপি আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে নিহত গৃহবধু ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। পপি আক্তার উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের মৃত শাহজালালের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে পপি’র স্বামী আরিফুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। নিহত পপি’র মা রেজিয়া খাতুন জানান, উপজেলার চৌমুহনী খুর্শিদ স্কুল এন্ড কলেজে পপি অধ্যায়ন কালে ৬ মাস আগে পপিকে একই উপজেলার মঙ্গলপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফ অপহরণ করে। এ ঘটনায় পপির মা রেজিয়া খাতুন আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। পরবর্তীতে এ মামলাটি আপোষে নিষ্পত্তি করে পপি’র নামে আরিফ ২০ শতক জমি দিয়ে পপিকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে প্রায় ৫ মাস ধরে পপিকে নিয়ে আরিফ ঢাকায় বসবাস করত। কিন্তু আরিফ পপিকে নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করে পপি’র কাছ থেকে সাদা অলিখিত ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে পপি’র গয়নাঘাটি রেখে দেয়। প্রতিদিনই পপি’র উপর অমানসিক নির্যাতন করা হত। নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে গত ২ মার্চ গোপনে পালিয়ে পপি তার মায়ের নিকট হরিণখোলা গ্রামে চলে আসে এসব নির্যাতনের বিবরণ দেয়। স্ত্রী পালিয়ে এসে খবর পেয়ে তার স্বামী আরিফও রোববার বিকেলে পপি’র বাড়িতে এসে কেন চলে আসল এর কারণ জানতে চেয়ে পপিকে শাসায়। রোববার রাতে পপি ও আরিফ একই ঘরে শুয়ে পড়ে। পপি’র মা সোমবার সকালে জামাতা ও মেয়েকে ঘরে রেখে টমেটো ক্ষেতে শ্রমিকের কাজ করতে যায়। দুপুরে এসে দেখে তাদের শুবার দরজা বন্ধ। কিন্তু একটি জানালা খোলা। জানালা দিয়ে দেখতে পায় পপি ঘরের আড়ের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে। তার মায়ের অভিযোগ আরিফ পপিকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে মাধবপুর থানার কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই এমরান হোসেন পপি’র লাশ উদ্ধার করেন। স্বামী পলাতক থাকায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর