,

বানিয়াচংয়ে নারী সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাইপগানের গুলিতে ৭ জন আহত

বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচংয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এক যুবক অবৈধ পাইপগান দিয়ে গুলি চালিয়ে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রসহ অন্তত ৭ জনকে আহত করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ওই যুবককে আটক করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউরি ইউনিয়নের কালানজোড়া গ্রামে নারী সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটে। আটককৃত যুবকের নাম সৈয়দ জহির আহমদ (৩০)। গুলিতে আহতরা হলেন, সৈয়দ জুবায়ের আহমদ (৪৮), সৈয়দ উজ্জল মিয়া (২৮), সৈয়দ রাসেল (২২), সৈয়দ আমীন (৩০), সৈয়দ নজরুল ইসলাম (৩২), স্বরাজ মিয়া (৫০) ও স্থানীয় বক্তারপুর আবুল খায়ের উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র সৈয়দ রেদোয়ান আহমদ (১৫)। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর স্থানীয় চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানসহ এলাকার মেম্বার, সংরক্ষিত সদস্যাসহ লোকজন জহিরকে অবৈধ পাইপগানসহ আটক করে রাখেন। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জহিরকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঐ গ্রামের মৃত সৈয়দ সাজিদুর রহমানের স্বামী পরিত্যক্তা কন্যা স্থানীয় ব্রাক স্কুলের শিক্ষিকা সৈয়দা ঝুনু বেগমকে একই এলাকার বেতকান্দি গ্রামের সৈয়দ আলী আহমদের ছেলে সৈয়দ আমীন আহমদ বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এ অবস্থায় উভয়ের পরিবারের মধ্যে তাদের বিয়ে নিয়ে সমঝোতায় পৌছেন। কিন্তু বাদ সাধেন কনের বড় ভাই মৃত সৈয়দ সাজিদুর রহমানের ছেলে সৈয়দ জহির আহমদ। তিনি এ বিয়ে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমীনকে মারার জন্য বিভিন্ন কৌশল করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় একটি মাজারের সামনে আমীনসহ তার কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন অন্য একটি বিষয় নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসেন। এ সময় জহির উপস্থিত হয়ে আমীনকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চাইলে উপস্থিত লোকজন বাধা দেন। এতে জহির ক্ষিপ্ত হয়ে দৌড়ে তার ঘরে চলে যায়। ঘরে থাকা একটি অবৈধ পাইপগান নিয়ে উল্লেখিত স্থানে চলে আসেন এবং অতর্কিতভাবে গুলি ছুরতে থাকেন। এক পর্যায়ে ওই স্থানে থাকা অন্তত ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়। তার এলোপাথাড়ি গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে ধাওয়া দেয়। এ সময় জহির দৌড়ে তার বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। গ্রামের লোকজন তখন তার বাড়ী গিরে রাখে। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা রাহেলা হক, ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল হালিম ঐ বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে তার কাছ থেকে সেই অবৈধ পাইপগানটি উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার এস আই এস এম ফিরোজ আহমদ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসলে জহিরকে অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার এস আই এস এম ফিরোজ আহমদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে জহিরকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবং তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


     এই বিভাগের আরো খবর