,

জলসূখা কেজিপি হাইস্কুল : বাহ্যিক ফিটফাট অভ্যন্তরে সর্বনাশ

মোহাম্মদ আলী মমিন \ আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসূখা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সবকিছুই রয়েছে অথচ সাফল্য কিছুই নাই। অব্যবস্থাপনা ও দূর্নীতির কারণে বিদ্যালয়টি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। অনুসন্ধানে জানা যায় ১৮৭৬ইং প্রতিষ্ঠিত জলসূখা কৃষ্ণ গবিন্দ পাবলিক (কেজিপি) উচ্চ বিদ্যালয় অবকাঠামো ও শিক্ষক ছাত্রের কোন সমস্যা নেই। প্রধান শিক্ষকের সুপরিসর ক, অফিস রুম, ১৪ শিক্ষকদের মিলনায়তন, ৯টি কাস রুম, ছাত্র মিলনায়তন, কম্পিউটার ল্যাব, ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির ৮শত ছাত্রছাত্রীর স্কুলটি বাউন্ডারী বেষ্টিত। শিক্ষার পরিবেশ দৃশ্যমান থাকলেও প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলামের স্বেচ্ছাচারিতা, দূর্নীতি, অনিয়মের কারণে বিদ্যালয়টি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ক্লাসরুম থাকলেও সেকশন নেই, প্রগ্রেসিভ রিপোর্ট নেই, ক্যাশ খাতায় মারাতœক গড়মিল, কোচিং বাণিজ্য, জাল সার্টিফিকেট বাণিজ্য, স্কুলের কাজ দেখিয়ে অনুপস্থিত নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। এ প্রতিনিধির হেফাজতে ৩ জাল সার্টিফিকেট থেকে দেখা যায় প্রধান শিক মোঃ শফিকুল ইসলাম ১৪ সালের এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখে ১৭ ক্রমিকে মোছাঃ সেকুল বেগম, ২৭নং ক্রমিকে মোঃ রাশিদুল মিয়া ও ৩৩নং ক্রমিকে মোঃ আঙ্গুর মিয়া নামীয় ছাত্র ৮ম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে। ওই নামে স্কুলে কোন ছাত্র আদৌ ছিল না। স্কুলের অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম বিষয়ে এসএমসি সভাপতি মোঃ মারফত উল­া, এসএমসি সদস্য বাবুল রায়, ডাঃ এলাজুর, আসাদ মিয়া ও সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এর সাথে ফোনালাপ হয়। তন্মধ্যে ৩ জন অব্যবস্থাপনা ও দূর্নীতির সত্যতা স্বীকার করলেও অন্যজন আংশিক সত্য বলে জানান। অন্য দিকে প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম এর ০১৭১৮-৬৩৩৭৬৫ মোবাইলে একাধিকবার ফোনে রিং করেও পাওয়া যায়নি।


     এই বিভাগের আরো খবর