,

হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়কে যাত্রী ছাউনি দখল করে বালুর ব্যবসা

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের কলিমনগর এলাকায় যাত্রী ছাউনি দখল করে বালুর স্থপ করে রাখায় ঘটছে দূর্ঘটনা। বাসসহ যানবাহনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের বর্ষায় বৃষ্টি আর গ্রীষ্মে প্রচন্ড রোদ থেকে রক্ষা করতে এখানে বিশ্রাম নেয়ার জন্য তৈরি করা হয় যাত্রী ছাউনি। অথচ কলিমনগরের এ যাত্রী ছাউনিটিতে অবৈধভাবে দখল করে রাখা হয়েছে। যাত্রী ছাউনি ঢেকে মূল সড়কের উপর বালুর স্তুপ করে রাখায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। এলাকাবাসির অভিযোগ সাবেক মেম্বার আব্দুস সামাদ দীর্ঘদিন ধরে এখানে বালুর স্থপ করে ব্যবসা করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল সোমবার সকালে বালুর স্থপের কারণে সিএনজি অটোরিকশা উল্টে ৫ যাত্রী আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতরা জানান, গতকাল ওই সময় একটি সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী নিয়ে শায়েস্থাগঞ্জ যাবার পথে কলিমনগর এলাকায় সড়ক ক্রস করার সময় বালু বোঝাই ট্রাক্টরের সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে যায় সিএনজিটি। এতে দুলাল মিয়া ও আহাদসহ ৫ যাত্রী আহত হয়। এদের মাঝে দুলাল ও আহাদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় এলাকাবাসির পক্ষ থেকে যাত্রী ছাউনির সামন থেকে বালু স্তুপ সরানোর কথা বললেও রহস্যজনক কারণে সরানো হয়নি। ইতোপূর্বে যাত্রী ছাউনির সামনে বালুর স্থপের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে কিছু দিন বন্ধ থাকার পর আবারো স্থপ করে রাখা হচ্ছে। গতকাল সরেজমিনে মোটরসাইকেল যোগে উল্লেখিত সড়ক অতিক্রম করার সময় এ প্রতিনিধি অল্পের জন্য বড় ধরণের দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান। খোজ নিয়ে জানা যায়, আব্দুস সামাদ নামের সাবেক এক মেম্বার এখানে বালুর স্থপ করে রেখেছেন। ফলে যাত্রী ছাউনিটি ব্যবহার করতে পারছেন না স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ যাত্রীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ যাত্রী ছাউনিটি কলিমনগর, চরহামুয়া, হামুয়া, খোয়াই নদীর পুর্ব পাড়, বনগাঁও, সুঘরসহ কয়েক গ্রামের লোকজন এ যাত্রী ছাউনি ব্যবহার করে চলাচল করে থাকেন। কিন্তু সঠিক রণাবেক্ষণ আর অযতœ-অবহেলার কারণে যাত্রী ছাউনিটি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এহেন অবস্থায় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর কবল থেকে যাত্রী ছাউনিটি দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।


     এই বিভাগের আরো খবর