,

সৌদিতে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হবিগঞ্জের যুবতী

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ চাকুরির প্রলোভন দিয়ে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বনগাঁও গ্রামের এক যুবতীকে সৌদি আরবে পাচার করেছে দালালচক্র। ৫ মাস সৌদি আরবে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অবশেষে ওই যুবতী দেশে ফিরে এসেছে। এ ব্যাপারে সে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হতে এসেও আইনী মারপ্যাঁচে পড়ে ভর্তি হতে পারেনি ওই যুবতী। বনগাঁও গ্রামের আবু মিয়ার কন্যা নির্যাতিতা যুবতী এ প্রতিনিধিকে তার করুণ কাহিনীর কথা জানান। ৩ বছর আগে চুনারুঘাট উপজেলার রামশ্রি গ্রামের শরীফ উদ্দিনের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর রায়হান নামের এক সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সম্প্রতি শরীফ উদ্দিনের সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে সে দরিদ্র পিতার বাড়িতেই সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করে। তাদের বাড়িতে আসা যাওয়ার সুবাদে পরিচয় হয় বাহুবল উপজেলার চলিতাতলা গ্রামের সুরুজ আলীর পুত্র মতিন দালালের সাথে। মতিন তার দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে তাকে বিনা খরচে সৌদি পাঠানোর প্রলোভন দেখায়। মতিন জানায়, ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতনে গৃহকর্মীর কাজ দেয়া হবে তাকে। এতে সে রাজি হলে মতিন তার ভিসা ও পাসপোর্ট তৈরি করে ঢাকার ফকিরাপুল পানির ট্যাংকি এলাকায় মকবুল আলী নামের এক ব্যক্তির নিকট তাকে ২ সপ্তাহ ট্রেনিং করায়। গত ৪ নভেম্বর একমাত্র শিশু সন্তান রেখে সে দালাল মতিনের মাধ্যমে সৌদি আরব যায়। সেখানে যাবার পর একজন লোক এয়ারপোর্ট থেকে একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ওই লোক দিনের পর দিন তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। আত্মীয় স্বজনের সাথে তাকে যোগাযোগ করতে দেয়নি। পরে গত ৩০ মার্চ তাকে ওই লোক দেশে পাঠিয়ে দেয়। এ বিষয়ে সে মতিনের লোকজনের কাছে বিচারপ্রার্থী হলে তারা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। নির্যাতিতা মেয়েটি জানায়, কোর্টে মামলা করতে গেলে তাকে বলা হয় হাসপাতালে ভর্তি হতে। হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে তাকে বলা হয় কোর্টে যেতে। শেষ পর্যন্ত সে কোন খানে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যায়।


     এই বিভাগের আরো খবর