,

পানিতে তলিয়ে গেছে নবীগঞ্জের ১ হাজার ৯০ হেক্টর সবুজ ধান : হাওরপাড়ের কৃষকদের ঘরে ঘরে আর্তনাদ

রিপন দেব ॥ গত কয়েকদিনের টানা বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নবীগঞ্জের বিভিন্ন হাওরের ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার কৃষক। এখন শুধু আহাজারি ও কান্নার রোল হাওর এলাকায়। হাওর এলাকার শতাধিক গ্রামের হাজারো কৃষকের আশা ছিল মঙ্গলবার আকাশে রোদ দেখা দিলে হয়ত আবাদকৃত ধান গোলায় তুলা যাবে কিন্তু সব আশাই যেন গুড়ে বালি হয়ে গেল। মঙ্গলবার ভোরের আলো ফুঁটার সাথে সাথেই ডুবতে থাকল উপজেলার মকার হাওর, গুঙ্গাজুরি হাওর, গুমগুমিয়া হাওর, জোয়ালভাঙ্গার হাওর, পুবের হাওর, বেরি বিল সহ উপজেলার প্রায় ১হাজার ৯০ হেক্টর আবাদকৃত সবুজ কাঁচা ধান। হাওরের নির্ধারিত বেষ্টনি ছাড়াও হাওরের আশে পাশের আরো প্রায় কয়েকশ হেক্টর জমিতে এ মৌসুমে অধিক ফলনের আশায় কৃষকরা বোরো আবাদ করেছিলেন কিন্তু সব কিছুই তো মঙ্গলবার সকালে শেষ হয়ে গেলে এখন শুধু হাওরপাড়ের কৃষকদের ঘরে ঘরে আর্তনাদ ছাড়া আর কিছুই শোনা যাচ্ছেনা।’ কৃষকদের চোখের জল আর বৃষ্টির পানি যেন মিলেমিশে একাকার। হাওরে কাঁচা সবুজ ধানের ওপর দিয়ে হাওরের অথৈ পানি ঢেউ খেলছে আর এসব ঢেউয়ের আঘাত লাগছে দরিদ্র কৃষকদের বুকে। কৃষক রমজান আলী আক্ষেপ করে বলেন, ভাই এই হাওরের ফসল দিয়া আমাদের সারা বছরের (এক বছর) খোরাকি (খাওয়ান) চলে এরপর বাড়তি ধান বেইচ্ছা (বিক্রি) করে বাড়ির ছেলে মেয়ের বিয়া সাদি, দুইড্যা ঈদ করি, বাড়ির ঘর ঠিক করি, কাপড় ছোপড় কিনি কিন্তু এ বছর আমরা কি করব, কি খাব, কিছুই ত আর রইলো না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ দুলাল উদ্দিন উপজেলার প্রায় ১ হাজার ৯০ হেক্টর ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় খবর নিশ্চিত করেছেন। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমান আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর