,

রাতের আকাশে এ কিসের আলোকচ্ছটা!

সময় ডেস্ক \ উত্তর মেরু অঞ্চলে সাধারণত দেখতে পাওয়া যায় এমন আলোকচ্ছটা (অরোরা) পর্যবেক্ষণকারীরা রাতের আকাশে একটি নতুন ধরনের আলোকচ্ছটা দেখতে পেয়েছেন। তাঁরা এর নাম দিয়েছেন স্টিভ। ফেসবুকে একটি গ্রæপ ওই আলোকচ্ছটার ছবি শেয়ার করার পর তা বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। ফেসবুকে শেয়ার করা আলোকচ্ছটার ওই ছবিটি দেখেছেন কানাডার ক্যালগ্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিক ডোনোভান। তিনি এই আলোকচ্ছটার প্রকৃতিকে কোনো শ্রেণিতে ফেলতে পারেননি। যদিও যে গ্র“পটি ছবি শেয়ার করেছে তারা একে বলেছে প্রোটন বৃত্ত। তবে এরিক ডোনোভান জানতেন প্রোটন আলোকচ্ছটা দৃশ্যমান নয়। বিজ্ঞানীর পরীক্ষা করে দেখেছেন, বায়ুমন্ডলের সর্বোচ্চ স্তরে তীব্র বেগে প্রবাহিত গ্যাসের উষ্ণ বাষ্প থেকে ওই আলোকচ্ছটার সৃষ্টি হয়েছে। দ্য ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) ওই আলোকচ্ছটা পরীক্ষার জন্য ভ‚পৃষ্ঠ থেকে ৩০০ কিলোমিটার ওপরে যন্ত্রপাতি পাঠায়। এর মাধ্যমে দেখা যায়, বাইরের চেয়ে গ্যাসের ওই বাষ্পের ভেতরের তাপমাত্রা তিন হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। ২৫ কিলোমিটার বিস্তৃত ওই আলোকচ্ছটার ভেতরে সেকেন্ডে ছয় কিলোমিটার বেগে গ্যাস প্রবাহিত হচ্ছে, যা বাইরের চেয়ে ৬০০ গুণ বেশি দ্রুত। বড় বেগুনি রঙের ওই আলোকচ্ছটার বিষয়ে এখন পর্যন্ত এর চেয়ে বেশি কিছু জানা যায়নি। তবে উত্তর মেরু অঞ্চলে দেখতে পাওয়া আলোকচ্ছটার (অরোরা) সঙ্গে এর মিল নেই। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সঙ্গে সৌর কণার মিথস্ক্রিয়ায় এই আলোকচ্ছটার সৃষ্টি হয়নি, যেটি সাধারণত অরোরার ক্ষেত্রে হয়। ২০০৬ সালের একটি শিশু চলচ্চিত্র ‘ওভার দ্য হেজ’ এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ওই ছবি শেয়ার করা ফেসবুক গ্র“প নতুন ধরনের আলোকচ্ছটার নাম স্টিভ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই চলচ্চিত্রের চরিত্রগুলো আগে দেখা যায়নিÑএমন এক প্রাণীর নাম রাখে স্টিভ। ইএসএর রোজার হাগম্যানস বলেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক যে, প্রাকৃতিক ঘটনাবলি কত সুন্দর যে তা পর্যবেক্ষণ করেছেন সাধারণ নাগরিকেরা; যা কিনা বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর