,

বাহুবলে পানিতে নিমজ্জিত হাজারো কৃষকের স্বপ্ন

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাহুবল উপজেলার অধিকাংশ বোরো জমিপানিতে তলিয়ে গেছে। সর্বত্র কৃষকদের মধ্যে চলছে হাহাকার। সব হারিয়ে দিশেহারা কৃষকরা বানের জলে নিমজ্জিত আধা-কাঁচা ধান সংগ্রহ করছেন। কিন্তু তা খাওয়া উপযোগি না হওয়ায় স্তপ করে ফেলে রাখছেন এবং এসব নষ্ট হয়ে যাওয়া ধানের স্থপের পাশে বসে অনাগত দুর্দিনের শঙ্কায় চোখে শষ্যফুল দেখছেন কৃষকরা। উপজেলার হাওড়-নন হাওড় সর্বত্র একই চিত্র বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে হবিগঞ্জ-সিলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তারা কৃষকদের শান্তনা দিয়েছেন, সহায়তার প্রতিশ্র“তিও দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও কৃষকরা বুকবাঁধতে পারছেন না। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, এবার উপজেলার ৭ ইউনিয়নে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে হাওড়াঞ্চলে ৪ হাজার ৪৫০ এবং নন-হাওড়াঞ্চলে ২ হাজার ৮৮০ হেক্টর। গত ক’দিনের অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ১ হাজার ৮৬০ হেক্টর ভূমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরমধ্যে হাওড়ে ১ হাজার ৫৯০ এবং নন-হাওড়ে ২৭০ হেক্টর জমি বানের জলে নিমজ্জিত ও আক্রান্ত হয়েছে। সূত্র মতে, উপজেলার স্নানঘাট, সাতকাপন ও বাহুবল সদর ইউনিয়নজুড়ে ঘুঙ্গিয়াজুরি হওড়ে এবার ৪ হাজার ৪৫০ হেক্টর ভূমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৫৫৫ হেক্টর ভূমি বানের জলে নিমজ্জিত হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় এবং উজানের পানি নেমে প্রতিমুহূর্তে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে বলেই মনে করছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা। গতকাল সোমবার হাওড়াঞ্চলে ঘুরে এবং স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাস্তবে ঘুঙ্গিয়াজুরি হওড়ের অধিকাংশ বোরো জমির আধা-পাকা ধান বানের জলে তলিয়ে গেছে। হাওড়ে পানি বাড়তে থাকায় অবশিষ্ট বোরো জমিগুলোও তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এছাড়া উপজেলার নন-হাওড়াঞ্চলের বোরো জমিগুলোতে পাহাড়ি ছড়ার স্রোতধারা ও করাঙ্গী নদীর অকার বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ফলে ওই অঞ্চলগুলোরও বোরো ধানসহ অন্যান্য মৌসুমী সবজি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর