,

লম্পট শাহিন ও তার বন্ধুকে খোজছে পুলিশ! বহুলায় কলেজ ছাত্রীর পর্নো ছবি ধারণ ॥ লজ্জায় আত্মহত্যা

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ছোট বহুলা গ্রামে পর্ণো ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে (২য় পৃষ্ঠায় দেখুন) আপলোড করায় লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে এক কলেজ ছাত্রী। গতকাল সোমবার দুপুরে ওই গ্রামের সিদ্দিক আলীর কন্যা শারমিন আক্তার লিপি (১৮) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। মৃত শারমিনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শারমিনের সাথে বেশ কিছুদিন পূর্বে কলেজে আসা যাওয়ার সুবাদে একই গ্রামের সাজিদ মিয়ার পুত্র শাহিন মিয়া (২০) এর প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। কৌশলে সাজিদ ওই ছাত্রীর পর্ণো ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে শারমিন আক্তার লিপি। তার পরিবার জানায়, গত কয়েকদিন ধরে সে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঠিকমত কথা বলতনা। সারাক্ষণ ঘরের দরজা বন্ধ করে বসে থাকত। গতকাল সোমবার সকালে পরিবারের লোকজন ঘরের তীরের সাথে তাকে ঝুলতে দেখে জীবিত ভেবে তীর দেহ নামিয়ে ফেলে। কিন্তু সে মারা যায়। লিপির মা রাহেনা মেয়ের মৃত্যুতে বার বার মুর্চা যাচ্ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত নারী পুরুষ ভিড় জমায়। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে সদর থানার এসআই মিন্টু দে ও পিএসআই অঞ্জনা বেগম ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করেন। শারমিনের পরিবার আরো জানান, ওই ঘটনার সাথে একই গ্রামের ছুরত আলীর পুত্র মোশাহিদও জড়িত রয়েছে। সে শাহিনের বন্ধু। উল্লেখ্য শারমিন ও শাহিন উভয়েই চলতি বছর হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে অনার্স ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এদিকে শারমিনের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই শাহিন ও মোশাহিদ আত্মগোপন করেছে। এ ঘটনায় ওই গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে এসআই মিন্টু জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ কিছু বলা যাচ্ছে না। পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর