,

১০ টাকা কেজির চালে দুর্নীতি বানিয়াচংয়ে যুবলীগ নেতাসহ দুই মেম্বার জনতার রোষানলে

বানিয়াচং প্রতিনিধি \ বানিয়াচংয়ে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণে দুর্নীতির অভিযোগে এক যুবলীগ নেতাসহ দুই ইউপি মেম্বার উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়েন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। গতকাল বুধবার স্থানীয় বড়বাজারে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ডিলার ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিবুর রহমানের কাছে কিছুদিন পূর্বে কার্ডধারী নারী-পুরুষরা চাল কিনতে গেলে তিনি চাল আসেনি জানান। এসময় কারণ জিজ্ঞাসা করলে সাহিবুর ও তার সহযোগী ১নং বানিয়াচং উত্তর-পূর্ব ইউপি’র দুই মেম্বার মিজানুর রহমান এবং মখলিছ মিয়া কার্ডধারীদেরকে জানান তারা অগ্রীম স্বাক্ষর দিয়ে গেলে তা অফিসে জমা দেয়ার পর চাল আসবে। তাদের কথামত শতাধিক নারী-পুরুষ স্বাক্ষর দিয়ে বাড়ী চলে যান। গতকাল বুধবার কার্ডধারীরা পুনরায় চালের জন্য গেলে সাহিবুর ও তার সহযোগী ইউপি মেম্বারদ্বয় কার্ডধারীদেরকে চাল আসেনি জানিয়ে তাদের কার্ড জমা দিয়ে যেতে বলেন এবং চাল আসলে চালসহ কার্ড নেয়ার জন্য খবর দেয়া হবে বলে আশ^স্ত করেন। এসময় কার্ডধারীরা কার্ড জমা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি তোমরা আমাদেরকে ভুল বুঝিয়ে আমাদের স্বাক্ষর নিয়ে চাল তুলে কালোবাজারে আমাদের চাল বিক্রি করে দিয়েছ। কার্ডধারীরা চালের দাবীতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে সাহিবুর ও তার সহযোগীরা দোকান বন্ধের চেষ্টা চালান। এসময় তারা কার্ডধারীদের রোষানলে পড়লে তাৎক্ষণিক নিকটবর্তী অপর ডিলার লুৎফুর রহমান, ১নং বানিয়াচং উত্তর-পূর্ব ইউপি’র চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনসহ বাজারে থাকা গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন। খবর পেয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খালেদ হোসাইনও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এসময় প্রকাশ্যে কার্ডধারীরা তাদের চাল আত্মসাতের অভিযোগ করে বিচার চান। ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চাল বিতরণের দিনক্ষণের ব্যাপারে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে তাকে অবগত না করায় তিনিও ক্ষোভ করে দুর্নীতির জন্য খাদ্য নিয়ন্ত্রককে দায়ী করেন। পরে খাদ্য নিয়ন্ত্রক ভুল স্বীকার করে ভবিষ্যতে চাল বিতরণের সময়সূচী ইউপি চেয়ারম্যানকে জানাবেন বলেন এবং কার্ডধারীদেরকে চাল না পেয়ে আর কখন অগ্রীম স্বাক্ষর প্রদান কিংবা নিজেদের কার্ড অন্য কারও কাছে হস্তান্তর না করতে বলেন। এব্যাপারে খাদ্য নিয়ন্ত্রক খালেদ হোসাইনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কার্ডধারীরা মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন কিন্তু লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা নিতে পরতাম। কিন্তু মুখের কথায় কিছু করা সম্ভব হবেনা।


     এই বিভাগের আরো খবর