,

নবীগঞ্জে বিক্রিকৃত জায়গা রেজিষ্ট্রারী করে না দিয়ে উল্টো নিজের দাবী করে আদালতে মামলা : আদালতের নির্দেশে সরেজমিনে তদন্ত করলেন ইউএনও

মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার দিনারপুর অঞ্চলের গজনাইপুর ইউপির মামদপুর গ্রামে বিক্রিকৃত জায়গা রেজিষ্ট্রারী করে না দিয়ে বিক্রয়কারী নিজের দাবী করে আদালতে মামলা দায়ের করায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নিজের স্বত্ব দাবী করে লাইলি বেগম নামের এক মহিলা কতৃক দায়েরকৃত মামলা আদালতের নির্দেশে সরেজমিনে তদন্ত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজিনা সারোয়ার। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সার্ভেয়ার ও অফিস সহকারীদের নিয়ে সরজমিনে ঘটনাস্থল মামদপুর গ্রামে বিরোধপূর্ণ স্থানে উপস্থিত হয়ে বাদি বিবাদীসহ এলাকার প্রবীন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাক্ষ্য গ্রহন করেন। জানা যায়, ২০০৬ সালে ১১ নভেম্বর জনৈক মুতাচ্ছির মিয়া মামলার বাদী লাইলি বেগমের পিতা মোবারক উল্লা ও মাতা কনিকা বিবির কাছ থেকে আনরেজিষ্ট্রিমূলে সাড়ে ৩৭ শতক জায়গা খরিদ করেন। খরিদের পর জায়গা ভোগ দখল করে আসছিলেন মুতাচ্ছির মিয়া। খরিদের প্রায় ২ বছর পরে মারা যান মোবারক উল্লা ও কনিকা বিবি। এরপর থেকেই বিক্রিকৃত জায়গা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। লাইলি বেগম বিক্রির কথা অস্বীকার করে নিজেকে জায়গার মালিক দাবী করেন। কিন্তু লাইলি বেগমের অপর এক আপন বোন ও ভাই থাকলেও তারা এ জায়গার মালিকানা দাবী করেননি। এনিয়ে বিরোধ দেখা দিলে তৎকালীন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে লাইলি বেগমের মা বাবা কতৃক বিক্রিকৃত জায়গা হতে আড়াই শতক জায়গা দেয়া হয় লাইলি বেগমকে। ওই সালিশ বৈঠকেই বিক্রিকৃত জায়গা রিজেষ্ট্রারী করে দিবেন বলে লিখিত অঙ্গীকার করেন লাইলি বেগম। এর পর দীর্ঘদিন ক্রেতা মুতাচ্ছির মিয়া জায়গা ভোগ দখল করে আসা অবস্থায় লাইলি বেগমকে ক্রয়কৃত জায়গা রেজিষ্ট্রারী করে দেয়ার জন্য বললে তিনি উল্টো জায়গা বিক্রি হয়নি বলে দাবী করেন। এবং নিজের জায়গা দাবী করে গত বছর হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে বিষয়টি নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্ত করে প্রতিবেদন পেস করেন। প্রতিবেদনে তিনি বাদী লাইলি বেগম তার নোটিশের প্রেক্ষিতে প্রয়জনীয় কাগজপত্র ও সাক্ষী নিয়ে হাজির হয়নি বলে উল্লেখ করেন। এর পর লাইলি বেগম এই তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দিলে বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে তদন্ত করেন তিনি। তদন্তকালে মামলার বাদির শতবর্ষী চাচাসহ এলকার প্রবীন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাক্ষ্য গ্রহন করেন। এসময় তারা মুতাচ্ছির মিয়া লাইলির পিতা মাতার কাছ থেকে জায়গা ক্রয় ও অনুষ্ঠিত সালিশের কথা জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজিনা সারোয়ার জানান, আদালতের নির্দেশ পেয়ে সরজমিনে তদন্ত করেছি। বিস্তারিত প্রতিবেদন অচিরেই আদালতে প্রেরণ করবো।


     এই বিভাগের আরো খবর