,

হত দরিদ্রদের মধ্যে চাল ও নগদ টাকা দেয়ার নামে নবীগঞ্জে মহিলা মেম্বারের প্রতারণা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য ওয়ারিছা বেগম এলাকার মহিলারদের সরকার কর্তৃক নতুন করে হত দরিদ্রদের মধ্যে ৩০ কেজি চাউল ও নগদ ৫০০ টাকা করে দিবে বলে সাধারণ মানুষের ভোটার আইডি কার্ড রেখে দিয়ে প্রতারনা করার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী এ নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা যায়, করগাঁও ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ওয়ারিছা বেগম শেরপুর, দুর্গাপুর, কামালপুর, সর্দারপুর, শাখোয়সহ আরো কয়েক গ্রামের হত দরিদ্র লোকদেরকে গ্রামে গ্রামে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার বলেন ইউনিয়ন অফিসে তাদের ভোটার আইডি নিয়ে আসার জন্য। ইউনিয়নের হত দরিদ্র লোকজন সরল বিশ্বাসে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে ইউনিয়ন অফিসে গেলে চেয়ারম্যান কে না দেখে তারা ওই ইউপি সদস্যকে প্রশ্ন করেন চেয়ারম্যান সাহেব কোথায়? তখন ইউপি সদস্য ওয়ারিছা বেগম বলেন চেয়ারম্যান সাহেব বিচারে আছেন, আপনার আপনাদের ভোটার কার্ড আর ফরম পূরনের জন্য আমার কাছে ২০ টাকা করে জমা দেন। তখন উপস্থিত লোকজন ২০ টাকা ও তাদের ভোটার কার্ড জমা দিতে থাকেন। টাকা ও ভোটার কার্ড জমা দেয়া শেষে তাদেরকে লাইন করে দাঁড়ানোর জন্য ওই ইউপি সদস্য বলেন। তার কথামত আগত লোকজন লাইন ধরে দাড়িয়ে থাকার পর ওই মহিলা সদস্য একটি ব্যানার দিয়ে তাকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মামলার আসামীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করার আয়োজন দেখে ফুঁসে উঠেন স্থানীয় জনতা। পরে উত্তেজিত জনতা প্রতিবাদ শুরু করলে মহিলা সদস্য ওয়ারিছা বেগম তড়িগড়ি করে ওই স্থান ত্যাগ করেন। এ খবর ইউপি চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিনের কাছে পৌছলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগনকে হয়রানী করার ঘটনা স্থানীয় জনতার রোষানলে পড়েন ইউপি সদস্য ওয়ারিছা বেগম। এ ঘটনায় এলাকায় দিন মুজুর, হত দরিদ্র লোকজনের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার বিবরণ দিয়ে ওই এলাকার ফুলমতি সরকার, বানেছা বিবি, সালেমা বিবি, ফুলতারা বিবি, ফুরিদা বিবি, করিমা বেগম, আম্বিয়া বেগম, জানু বেগম বলেন, তাদেরকে মহিলা মেম্বার ওয়ারিছা বেগম ৩০ কেজি চাউল ও নগদ ৫০০ টাকা করে দিবে বলে সাকুয়া বাজারের নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে চেয়ারম্যান মেম্বারগনদের তারা না দেখতে পেয়ে ওয়ারিছা মেম্বারনিকে প্রশ্ন করলে সে কোন উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যায়। তখন তাদের সন্দেহ হলে তারা স্বামী সন্তানদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ঘটনাস্থলে আসলে ওয়ারিছা বেগম তড়ি গড়ি করে চলে যান। এব্যাপারে ওয়ারিছা বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগারযাগ করা হলে তিনি পরিস্কার করে কিছু বলতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, ন্যায় বিচারের জন্য তিনি এ কাজ করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর