,

চুনারুঘাটের যুবতীকে চাকুরীর প্রলোভনে সৌদি আরবে পাচার

চুনারুঘাট প্রতিনিধি \ চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ছনখলা গ্রামের হতদরিদ্র ফুলবানু (৩০) কে চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে সৌদি আরবে পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে তার উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে ওই যুবতীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে। হতদরিদ্র ফুলবানুর পরিবারের সদস্যদের কাছে পাচারকারী চক্র মুক্তিপণ দাবি করছে। এ ঘটনায় ফুলবানুর ভাবী মরিয়ম বিবি বাদি হয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় চুনারুঘাট উপজেলার মির্জাটুলা গ্রামের আব্দুল কাদির (৪০) ও শানখলা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের পুত্র আব্দুল হক নিজামী (৪৫) ও হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গণির পুত্র আব্দুল মালেক (৩৮) কে আসামী করা হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই চক্রটি আত্মীয়তার সুবাদে ফুলবানুদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। তারা ফুলবানুর আর্থিক দৈন্যদশার সুযোগে তাকে বিনা খরচে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। তাদের কথামতো ফুলবানু হবিগঞ্জ শহরের একটি ট্র্যাভেলসের মাধ্যমে পাসপোর্ট করায়। পরে ঢাকার মিরপুর এলাকায় ১৫ দিনের টেনিং শেষে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল ফুলবানুকে পাচারকারীরা সৌদি আরব পাঠায়। ষেখানে যাওয়ার পর ফুলবানু স্বজনদের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। তার স্বজনদের সন্দেহ হলে বার বার আসামীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা কোন সুদোত্তর দেয়নি। পরে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা ফুলবানুর পরিবারকে জানায়, তাকে আটকে রাখা হয়েছে এবং সে সৌদি আরবে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। ১ লাখ টাকার ব্যবস্থা করতে পারলে তারা ফুলবানুকে দেশে ফেরত এনে দিবে। নতুবা তাকে ফেরত দেয়া হবে না। মামলাটি বিচারক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস আমলে নিয়ে ফুলবানুকে উদ্ধারসহ মামলা রুজু করতে চুনারুঘাট থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। বাদিপক্ষে মামলা দায়ের করেন এমদাদুল ইসলাম শাহীন। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে।


     এই বিভাগের আরো খবর