,

স্বাগত মাহে রমজান

সময় ডেস্ক ॥ শুরু হলো পবিত্র রমজান মাস। রবিবার থেকে সারাদেশের মুসলিমরা শুরু করছেন একমাসের সিয়াম সাধনা। শনিবার রাতে তারাবিহর নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। রবিবার ভোর রাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখবেন। গত শুক্রবার (২৫ মে) বাংলাদেশের আকাশে রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে রবিবার থেকে হিজরি সনের রমজান মাসের গণনা শুরু হচ্ছে। রমজান উপলক্ষে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো। এদিকে রমজান মাসে খতম তারাবি পড়ার সময় সারাদেশে সকল মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে বলা হয়েছে, রমজান মাসে দেশের প্রায় সকল মসজিদে খতম তারাবিতে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত না করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনও কোনও মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে করে কর্মজীবী- যারা বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন, তাদের পক্ষে কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন। এ পরিস্থিতি নিরসনে রমজানের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে, অর্থাৎ পবিত্র লাইলাতুল কদরে কোরআন খতম করা সম্ভব। এর আগে বিষয়টি নিয়ে দেশবরেণ্য আলেম, পীর-মাশায়েখ, খতিব-ইমামদের সঙ্গে আলোচনা হলে তারাও এ পদ্ধতিতে খতম তারাবি পড়ার পক্ষে অভিমত দিয়েছিলেন এবং সে মোতাবেক অধিকাংশ মসজিদে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।এ অবস্থায় দেশের সকল মসজিদে খতম তারাবিতে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরে কুরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মসজিদের ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে বিনীত অনুরোধ জানানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, তারাবি নামাজ ২০ রাকাত, যা রাসুলুল্লাহ্ (সা.) ও সাহাবিরা আমল করেছেন। ইসলামের প্রথম যুগ থেকে ওলামা ও ফকিহরা তা অনুসরণ এবং মসজিদুল হারাম ও মসজিদুন নববীসহ সারাবিশ্বের মুসলমানরা এভাবেই তা পালন করে আসছেন। সেই সঙ্গে তারাবিতে কোরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে উচ্চারণ স্পষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয়।


     এই বিভাগের আরো খবর