,

আর কত বয়স হলে ভাতা পাবেন নবীগঞ্জের লক্ষী রাণী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জের বাউসা ইউনিয়নের লক্ষী রাণী দেব। ৮২ বছর বয়সেও তিনি বয়স্ক ও বিধবা ভাতা থেকে বঞ্চিত। আর কত বয়স হলে এই বৃদ্ধা লক্ষী রাণী দেব ভাতা পাবেন তা আজো অজানা। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরে বাসা বেধেছে নানান রোগ-ব্যাধি। কানে শুনতে পান না। চোখেও ঝাপসা দেখেন। বয়সের ভারে শরীর একেবারে নুয়ে পড়েছে। কিন্তু জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়ালেও তার ভাগ্যে জোটেনি কোন সরকারি ভাতা। স্থানীয় প্রতিনিধিদের কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও কোনো সুবিধা পাননি তিনি। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা গ্রামের মৃত নরেশ দেবের স্ত্রী লক্ষী রাণী দেব। তার জন্ম ১৯৩৫ সালের ১০ জুলাই মাসে। ১ ছেলে এবং ২ মেয়ে আছে। স্বামী মারা গেছেন প্রায় ১৫ বছর পূর্বে। ছেলের সাংসারিক অবস্থাও ভালো না হোটেলে চাকরি করে। তিনি বর্তমানে ছেলের পরিবারের সঙ্গে আছেন। বসতভিটা ছাড়া লক্ষী রাণী দেবের কিছুই নেই। একমাত্র ছেলে ইরেশ দেব হোটেলে চাকরি করে কোনরকমে সংসার চালান। অভাবের সংসারে মায়ের এই বয়সে যেমন যতœ প্রয়োজন অর্থের অভাবে তেমনটি সে করতে পারেনা। অনেক চেষ্টা করার পরও তার বৃদ্ধা মায়ের বয়স্ক/বিধবা ভাতা হয়নি। লক্ষী রাণী দেব এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে জানান, বাউসা-নাদামপুর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার আল-হেলাল আহমেদ নির্বাচিত হওয়ার পর তার নিকট ছবি দেই। কিন্তু অদ্যবধি পর্যন্ত বয়স্ক বা বিধবা ভাতা কিছুই পাইনি। সেই আশায় আছি, আর কয়দিই বা বাচঁবো জানিনা জীবদ্দশায় সরকারের বিধবা বা বয়স্ক ভাতা পাব কি না।


     এই বিভাগের আরো খবর