,

শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনে টিকেট কালোবাজারে বিক্রি ॥ ভোগান্তিতে যাত্রীরা

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনের টিকেট আবারো কালোবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে কাউন্টারে গিয়ে মিলছেনা টিকেট। এতে করে বাহিরে দালালদের কাছ থেকে বেশী টাকা দিয়ে টিকেট কিনতে হচ্ছে। অনেককে আবার টিকেট না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে টিকেটের অতিরিক্ত বিক্রি মুল্যের একটি অংশ নিচ্ছেন ষ্টেশন মাষ্টারসহ কিছু অসাধু কর্মকমর্তা। সরেজমিনে রেলওয়ে ষ্টেশন ঘুরে দেখা যায়, কাউন্টারে ট্রেনের টিকেট নেই। দীর্ঘ লাইন ধরে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে যাত্রীরা টিকেট পাচ্ছেন না কাউন্টার থেকে। কাউন্টারে টিকেট না থাকলেও বাইরে কালোবাজারীরা টিকেট বিক্রি করছে বেশী টাকার বিনিময়ে। কাউন্টারে টিকেট চাইলে ষ্টেশনের মাষ্টার জানায়, টিকেট সীমিত, শেষ হয়ে গেছে। আর অনেক সময় স্টেশন মাষ্টারকেও খোঁজে পাওয়া যায় না। একটি সূত্র জানা যায়, রেলের টিকেট অনলাইনে কেনার নিয়ম থাকলেও দালালদের মাধ্যমে এগুলো আগে ভাগেই কিনে নেয়া হয়। রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে উদয়ন ট্রেনের জন্য ২৫টি, পাহাড়িকার জন্য ২৫টি, উপবনের জন্য ৪৫টি, পারাবতের জন্য ২৫টি, জয়ন্ত্রিকার জন্য ৩৫টি এবং কালনীর জন্য ২০টি টিকেট বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু যাত্রীরা কাউন্টারে একটি টিকেট পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। পরে তারা টিকেটের মূল্যের চেয়ে প্রতি টিকেটে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা আবার কেউ দ্বিগুণ দাম দিয়ে টিকেট কিনছেন কালোবাজারীদের কাছ থেকে। এদিকে কালোবাজারীদের হাতে টিকেট চলে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। জানাযায, ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনটি হবিগঞ্জ জেলার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। ওই ষ্টেশনে ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রামসহ সকল আন্তঃনগর ট্রেন ও লোকাল ট্রেন এখানে যাত্রা বিরতি করে। ফলে ষ্টেশনটি হবিগঞ্জ জেলার একমাত্র রেলযোগাযোগের মাধ্যম হয়ে আছে। কিন্তু ষ্টেশনের সার্বিক উন্নয়ন হলেও বাড়েনি সেবার মান। যাত্রীরা জানান, ষ্টেশনের উন্নয়ন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সীমিত টিকেট ও কালোবাজারীদের কারণে বেশি টাকা ছাড়া ট্রেনের টিকেট পাওয়াই মুশকিল। সম্প্রতি শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে অভিযান চালিয়ে কালোবাজারীদের আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত কারাদন্ড দেন। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারো কালোবাজারী শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ ষ্টেশন মাষ্টার রজত রায় জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি। আমাদের এখানে টিকেট এর সংখ্যা খুবই কম। তবে কাউন্টারে নয় আশেপাশে দালাল থাকতে পারে। তবে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর