,

নবীগঞ্জে ৬ যুগ পরে সম্পদের হিস্যা পেতে ৪ পরিবারের দেশ-বিদেশে থাকা জীবিত ও মৃত লোকদের আসামী করে মামলা

নবীগঞ্জ উপজেলার ৬নং কুর্শি ইউনিয়নে সম্পত্তির অংশ পাওয়ার জন্য ছয় যুগ পরে ৪ পরিবারের লোকদের আসামী করে মামলা দায়ের করায় এলাকায় দেখা দিয়েছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া। মামলার শেষ পয়সালা নিয়ে এলাকায় দেখা দিয়েছে জনমনে উদ্ধেগ উৎকন্ঠা। অপর দিকে ৪ পরিবারের ২৪ জন জীবিত মৃত লোকদের আসামী করায় এলাকাসহ এলাকার বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝর বইছে। নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কাদমা গ্রামের হায়দর উল্লাহ মারা যাওয়ার পর তিনি ৬ ছেলে ও ৩ কন্যা সন্তান রেখে মারা যান। তাদের ঔরষে জন্ম নেয় কন্যা ও সন্তানেরা। কিন্তু হাজী হায়দর উল্লাহ’র পুত্রদের মধ্যে তরাজ উল্লাহ ও আয়াজ উল্লাহ আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর পূর্বে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রাম থেকে স্ব-পরিবারে কুর্শি ইউনিয়নের কাদমা গ্রামে জায়গা ক্রয় করে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। হাজী হায়দর উল্লাহ’র অপর পুত্র হাজী ফরাজ উল্লাহ, হাজী আনিছ উল্লাহ, হাজী আব্দুল হামিদ ও হাজী আব্দুল্লাহ মিয়া তারা ঐক্যজোঠ হয়ে কাদমা গ্রামে জায়গা ক্রয় করে ঘর নির্মাণ করে। বর্তমানে ঐ নির্মানকৃত বাড়িতে ১০/১২টি পাকা বিল্ডিংসহ বিভিন্ন সম্পদ বিদ্যমান রয়েছে। এরই দিকে কুঃ দৃষ্টি পরে মৃত হাজী হায়দর উল্লাহ’র তরাজ মিয়া’র সন্তান হাজী নৌশা, সিজিল মিয়া ও সিরাজ মিয়া’র পুত্র পারভেজ ও জুলহাসের। তারা ৪ জন ঐক্যজোট হয়ে মৃত হায়দর উল্লাহ’র অপর পুত্র মৃত হাজী ফরাজ উল্লাহ, হাজী আনিছ উল্লাহ, হাজী আব্দুল হামিদ ও হাজী আব্দুল্লাহ এর সন্তানদের নিকট সম্পত্তির হিস্যা ও অংশ পাবার দাবিতে গত ১৯শে মার্চ ২০১৭ইং ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনাল, হবিগঞ্জ ৪৫০/২০১৭ মামলা দায়ের করে। এতে আসামী করা হয়েছে মৃত হাজী হায়দর উল্লাহ’র পুত্র মৃত হাজী ফয়েজ উল্লাহ, হাজী আনিছ উল্লাহ, গাজী আব্দুল হামীদ ও হাজী হাজী আব্দুল্লাহ মিয়া’র বংশদর জীবিত মৃত ছেলে মেয়েদের। মামলার আরজিতে উল্ল্যেখ করা হয়েছে মামলার বাদী নৌশা মিয়া গং তারা মৃত হাজী হায়দর উল্লাহ’র সম্পত্তির কিছু-কিছু ভূমি’র বন্ঠন ও রেকর্ড পত্র সঠিক মত পেয়েছেন। এবং কিছু কিছু জায়গা/জমির বন্ঠন ও রেকর্ড সঠিক হয়নি বলে উল্ল্যেখ করেছেন। মামলায় আরও উল্ল্যেখ করেন বর্তমানে হায়দর উল্লাহ’র সম্পত্তির পাঁচ ভাগের এক ভাগ তারা দাবি করেন এবং ঐ মামলায় তারা শুধু বাড়ি রখম ভূমি ৪ দাগের মোট ৫২ শতাংশ ভূমির হিস্যা পাবার দাবিতে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা যায় গেছে মৃত হাজী হায়দর উল্লাহ’র ৬ পুত্র ও ৩ কন্যা ছিলেন। সচেতন মহল মনে করেন যদি সঠিক অংশ ও হিস্যা করা হয় তাহলে অংশ বা হিস্যা করা হয় তাহলে অংশ বা হিস্যা হবে ৬ টির উপরে। কিন্তু দীর্ঘ ৬ যুগ পুর্বে মামলার বাদী ও পিতামহ পৃথক ভাবে সম্পত্তি বন্টনমূলে তারা নিজ-নিজ ভূমিতে বসবাস করে আসছেন। যে ভূমি নিয়ে মামলা করা হয়েছে তাহা দীর্ঘ প্রায় ৬ যুগ পূর্ব থেকে মৃত হাজী হায়দর উল্লাহ’র ছেলে সন্তানগণ বাড়ী ঘর নির্মাণ করে বস-বাস করে আসছেন বলে সূত্রে জানা গেছে। এমনকি বর্তমানে বাড়ি রখম ভূমিতে ১০/১২টি পাকা দালান বাড়ি ও বিল্ডিং নির্মান করে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছে- মৃত হাজী হায়দর উল্লাহ’র পুত্র হাজী ফরাজ উল্লাহ, হাজী আনিছ উল্লাহ, হাজী আব্দুল হামীদ ও হাজী আব্দুল্লাহ মিয়া’র সন্তান সন্তানাদীগণ। দীর্ঘ প্রায় ৬ যুগ পর দেশে বিদেশে অবস্থানরত জীবিত ও মৃত লোকদের আসামী করায় এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে সমালোচনার ঝঁড় বইছে।

আশিকুল ইসলাম
৬নং কুর্শি ইউপি, নবীগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর