,

চুনারুঘাটে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু : মৃত বোনকে দেখতে এসে লাশ হল ভাই

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এদিকে মারা যাওয়া বোনের লাশ দেখে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছে এক চাচাতো ভাই। হৃদয় বিদারক এ ঘটনা ঘটেছে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার সাবাসপুর সড়কে। নিহত যুবক ইদন মিয়া (৩০) সাবাসপুর গ্রামের আমির আলীর পুত্র। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, ৬ বছর আগে সাবাসপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়ার কন্যা ঝর্ণা আক্তার (২৫) কে বিয়ে দেয়া হয় চুনারুঘাট উপজেলার পাঁচঘাটিয়া গ্রামের রউফ উল্লার পুত্র শামসুল হকের নিকট। বিয়ের কয়েক মাস পর সামছুল ওমান চলে যায়। সেখানে যাওয়ার ৫ বছরও সে দেশে না ফেরায় দুই পরিবারের মাঝে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এ ঘটনায় উভয়পরিবারে মধ্যে কয়েক বার বিচার সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় ঝর্ণার নিকট ফোন আসে তার পিতা অসুস্থ। এ খবরে আকস্মিক সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্বামীর পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার এসআই আতাউর রহমানসহ একদল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এদিকে রাতেই ঝর্ণার মৃত্যুর খবর পেয়ে তার শ্বশুরালয়ে ছুটে আসে তার ভাই শাহাজাদা মিয়া ও চাচাতো ভাই ইদন মিয়া। তারা লাশ দেখে রাত ৩টার দিকে হাইয়েসযোগে সাবাসপুর গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় যাত্রীবাহী বাসের সাথে হাইয়েসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইদন মিয়া মারা যায় এবং শাহাজাদা মিয়া গুরুতর আহত হয়। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে ঝর্ণার ভাই হান্নান মিয়া জানান, বিয়ের পর থেকেই তার বোনের উপর নির্যাতন করে আসছিল তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তার বোন জ্ঞান হারায়নি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এসআই আতাউর রহমান জানান, পিতার অসুস্থতার খবর শুনে ঝর্ণা জ্ঞান হারায় বলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, এ খবর তার শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর