স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবল উপজেলা সদরে একমাত্র পাবলিক লাইব্রেরীটি আজ বছরের পর বছর তালাবদ্ধই থাকছে। অথচ গত বছর এমপি কেয়া চৌধুরী পাবলিক লাইব্রেরীর উন্নয়নের জন্য ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। ওই বরাদ্দের টাকা কোথায় আছে তাও কেউ জানে না। এই অচলাবস্থা দেখে এমপি কেয়া চৌধুরীও অসন্তোষ্টি প্রকাশ করেছেন। হিসাব দাখিল না করা নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে। তবে তিনি তা খতিয়ে দেখারও আগ্রহ দেখিয়েছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এই লাইব্রেরীর ভবনটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। পাবলিক লাইব্রেরী’ লেখা সাইনবোর্ডের ডানে ও বামে আরো দু সংগঠনের সাইনবোর্ড টানানো রয়েছে। নজরুল একাডেমী ও বাহুবল মডেল প্রেস ক্লাব। জানা যায়, গত ১১ জৈষ্ঠ্য ছিল কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮ জন্ম বার্ষিকী। বিভিন্ন স্কুল কলেজে এ দিবসটি পালন করা হলেও কিন্তু নজরুল একাডেমী তা করেনি। একাডেমীর সংশিষ্টদের সাথে আলাপ করে বুঝা যায়, তারা অনেকটা জানেনই না। সংগঠনও অনেকটা নড়েবড়ে। ফলে সংগঠনের সদস্যদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। অনেকটা আগের মত আর পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে কার্যক্রম নেই। সব সময় লাইব্রেরী থাকে তালা। আর সার্বক্ষণিক লাইব্রেরী পাহারা দিচ্ছে ২/৩টি কুকুর। যা প্রায়ই সেখানে ওই কুকুরগুলোকে পাওয়া যায়। এ অবস্থা দেখে অনেক কৌতুহলী জনতা কৌতুক করে বলে থাকেন- পাবলিক লাইব্রেরীটি কুকুর পাহারা দিচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন লাইব্রেরীর এ অচলাবস্থা ও অর্থ সংশিষ্ট বিষয়ে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।