স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে আলোচিত জোৎস্না হত্যা মামলায় নবীগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির হোসেনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পূনরায় চার্জশীট দিয়েছে সিনিয়র সহকারী সিআইডি পুলিশ সুপার বসু দত্ত চাকমা। চার্জশীটভূক্ত আসামীরা হলেন- গন্ধা গ্রামের মৃত: আব্দুল লতিফ এর পুত্র জাকির হোসেন, আব্দুর রহমানের পুত্র কানা আকবর উদ্দিন, মৃত: সামছুদ্দিনের পুত্র মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে সুফি লন্ডনী, মদনপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার পুত্র আল-আমিন, মায়ানগর গ্রামের জামাল উদ্দিনের পুত্র ছদর মিয়া, একই গ্রামের পুরুস্তুমপুর গ্রামের কুবাদ আলীর পুত্র তাজ উদ্দিন ও টেনাই মিয়ার পুত্র জামির মিয়া। ঘটনার বিবরণে জানাযায়, ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর সাবেক কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি এবং উপজেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের বাড়ীর সীমানা প্রাচীরের সামনে জোৎস্না বেগম নামে এক গৃহবধুর লাশ পাওয়া যায়। তার গ্রামের বাড়ী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল চারিগাঁও গ্রামে। এ ঘটনায় জোৎস্নার ভাই রজব আলী ফকির বাদী হয়ে সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমানকে আসামী করে আরো ৫ জনের নাম উল্লেখ করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে উল্লেখিত জাকির হোসেন, কানা আকবর, আল-আমিন, ছদর মিয়া, সুফি মিয়া, তাজ উদ্দিন, জমির মিয়া ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করেন। কিন্তু মামলার বাদী দাখিলকৃত চার্জশীটের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজী আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে বাদী হবিগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আতালতে রিভিশন মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ দায়রা জজ শুনানী শেষে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে প্রেরণের আদেশ দেন। সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে পূর্বের চার্জশীটের অভিযুক্তদের বহাল রেখে পুনরায় উল্লেখিত ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ইতি মধ্যে অত্র মামলায় আসামী ছদর মিয়া ও তাজ উদ্দিন বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি প্রদান করেন। তদন্তে প্রকাশ পায় যে, কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের সঙ্গে একই গ্রামের মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে সুফি মিয়া লন্ডনীর জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। সুফি মিজানুর রহমানকে ফাঁসাতে আসামীদের নিয়ে বিভিন্ন ফন্দি করে। এক পর্যায়ে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আসামীরা উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়।