,

পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধুর আত্মহত্যা

জুয়েল চৌধুরী ॥ পারিবারিক বিরোধের জের ধরে সদর উপজেলার সুতাংয়ে ইয়াসমিন আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে দুবাইয়ে থাকা স্বামী হাসান মিয়া (২৫) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ইয়াসমিনের পিতা মাছ ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন জানান, ৩ বছর আগে তার কন্যার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নাসিরাবাদ গ্রামের হাসান মিয়ার। এক পর্যায়ে উভয় পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে দেয়। এরপর তার কন্যাকে স্বামীর বাড়ি রেখে তার স্বামী হাসান জীবিকার তাগিদে দুবাই চলে যায়। সেখানে যাবার পর ইয়াসমিনের উপর তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্নকারণে নির্যাতন করতো। এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীর অনুমতি নিয়ে সে পিত্রালয়ে চলে আসে। সেখানে কিছুদিন থাকার পর পুনরায় সিরাজগঞ্জে শ্বশুর বাড়িতে যায়। তারপরও শ্বশুর বাড়ির নির্যাতন বন্ধ হয়নি। গত ঈদুল ফিতরের দিন নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ খবর শুনে দুবাইয়ে থাকা হাসান তার শ্বশুরকে ফোন করে সিরাজগঞ্জ থেকে নিয়ে আসার জন্য বলে। হাসানের কথামতো শ্বশুর মকবুল হোসেন ও শ্বাশুড়ি মাজেদা বেগম তাদের কন্যাকে সুতাংয়ের বাড়ি নিয়ে আসেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে স্বামীর-স্ত্রীর মাঝে ফোনে কথা হয়। বিকাল ৫টার দিকে ইয়াসমিন ঘরের দরজা বন্ধ করে তীরের সাথে উড়না পেচিয়ে ফাঁস লাগায়। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পরিবারের লোকজন ইয়াসমিনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে তার মৃত্যুর খবর দুবাই প্রবাসি স্বামীকে জানালে সেও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। তার সহকর্মীরা আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শারজাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইয়াসমিন কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার বাগারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তার পরিবার হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুতাংয়ে বসবাস করছে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।


     এই বিভাগের আরো খবর