,

মনোবল হারাচ্ছেন কৃষকেরা : নবীগঞ্জে দু’ফসল ঘরে তোলা হলোনা কৃষকের

শাহ সুলতান আহমদ ॥ নবীগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন গ্রামের পেশাদারি কৃষকেরা এ বছর দু’ফসল ঘরে তুলতে ভাটা পড়ায় তাদের মনোবল এখন দিন দিন হারাতে চলেছেন। এক দিকে বিভিন্ন ঋন পরিশোধ করতে দুশ্চিন্তায়। অপরদিকে চলতি বছরের আগামী দিন কিভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে কাটাবেন সেই হিসেব করে হতাশায় ভুগছেন। জানাগেছে- নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পেশাদারি কৃষকেরা এ বছরে বোরো ফসল অকাল বন্যা ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে তলিয়ে যায়। এতে কৃষকেরা এক মুষ্টি বোরো ধান ঘরে তুলতে পারেননি। এর পর তারা মনোবল হারাননি। তারা বোরো ফসল হারানোর কথা চিন্তা করে বুদ্ধি করে ব্যাপক আকারে আউশ ধানের ফলনের দিকে মনোনিবেশ করেন। ইতিমধ্যে তারা উন্নত জাতের আউশ ধানের বীজ বাজার থেকে ও অন্যান্য কৃষকদের কাছ থেকে বর্ধিত মূল্যক্রয় করে তাদের বীজ তলায় রোপন করেন। অনেকে রোপনকৃত চারা উপড়ে রোপন করেছেন। কিন্তু আবারো দ্বিতীয় দফায় কুশিয়ারা নদীর পানি নবীগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের আনাচে-কানাচে প্রবেশ করে কৃষকের বীজ তলা এবং তাদের রোপন কৃত ধান তলিয়ে যায়। বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষি ক্ষেত হিসেবে পরিচিত ছোট বড় হাওড়ে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। প্রতিনিধির কাছে তারা আবেগপূর্ণ বক্ত্য তুলে ধরেন। তাদের মধ্যে ওই উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের কৃষক ধন মিয়া জানান এ বছর বোরো ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হয়নি। তিনি বিকল্প চিন্তা করে আউশ ধানের বীজ সংগ্রহ করে বীজতলা তৈরি করেছিলেন এবং কয়েক একর জমিতে ইতিমধ্যেই রোপনের কাজ সমাপ্ত করেছেন। কিন্তু রোরো ফসলের মতো আবারো বন্যার পানি রোপনকৃত ধান তলিয়ে গেছে এবং পচে গেছে। আগামী বছর কিভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে চলবেন সেই চিন্তায় তিনি এখন দিন কাটাচ্ছেন। শুধু ধন মিয়া নন তার মতো আরো শত শত কৃষক পরিবারের লোকজন এ বছর দুফসল হারিয়ে মহা চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। এমন ও অভিযোগ রয়েছে অনেকে এখন থেকে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন বলে অনেকে অভিযোগ করছেন। সমাজের সচেতন মহল মনে করেন সরকারের পক্ষ থেকে পেশাদারি কৃষকদের তালিকা তৈনি করে তাদের পাশে দাড়িয়ে বিভিন্ন সেবামুলক সুযোগ সৃষ্টি করে দিলে ফসল হারানো কৃষকদের হতাশার স্থলে আশার সঞ্চার হবেন। নতুুবা তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মহা সংকটে পরে অবশেষে কৃষি ক্ষেত করতে মনোবণ হারাবে বলে সচেতন মহল মনে করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর