,

নবীগঞ্জে ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ॥ আহত ১৫

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে সরকারী কলেজে নবীন ছাত্র-ছাত্রী বরণ কালে উপজেলা ছাত্রলীগের বিরাজমান দু’গ্র“পের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ও পথচারীসহ ১৫ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এসময় শহরের বেশ কয়েকটি হোটেল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও আওয়ামীলীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে। এনিয়ে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শহরে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। ছাত্রলীগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার নবীগঞ্জ সরকারী কলেজে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাগত জানিয়ে বিদ্রোহী গ্র“পের দুই নেতা মুহিনুর রহমান ওহি ও ফয়ছল এর নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আবু সালেহ জীবন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান গ্র“পের কাশেম বাধাঁ দিলে কলেজে উভয় পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র ও জি আই পাইপ দিয়ে মহড়া ও ধাওয়া পাল্ট ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জীবন ও সাইদুর গ্র“পের ৫ জন আহত হয়। কলেজ থেকে জীবন সাইদুর গ্র“পের কর্মীরা বিতাড়িত হয়ে ওসমানী রোডস্থ কফি হাউজের সামনে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে মুহিনুর ও ফয়ছল গ্র“পের নেতা কর্মীরা কফি হাউজের সামনে গিয়ে জীবন-সাইদুর গ্র“পের কর্মীদের ধাওয়া দেয়। বিকাল ৩টায় শহরের নতুন বাজার মোড়ে ছাত্রলীগ নেতা জীবন ও সাইদুরের নেতৃত্বে আবারো জড়ো হওয়ার চেষ্টা চালালে দুই গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় স্থগিত কমিটির সাধারন সম্পাদক সাইদুর, দিপন, লুুৎফুর, শাহিন সহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়। এসময় শহরের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক দেখা দেয়। ব্যবসায়ীরা দোকানপাঠ বন্ধে করে দেন এবং পথচারীরা দিকবিদিক ছুটোছুটি করতে থাকেন। প্রকাশ্যে বিদ্রোহী গ্রপের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে স্থগিত কমিটির নেতাকর্মীদের উপর বেপরোয়া হামলা শুরু করে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় শহরের কয়েকটি দোকানে ভাংচুর করা হয়। এনিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।


     এই বিভাগের আরো খবর