,

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিদায়ী পুলিশ সুপার পুলিশের সাথে সাধারণ মানুষের দুরত্ব কমিয়ে আনতে হবে

জুয়েল চৌধুরী \ হবিগঞ্জের বিদায়ী পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্রের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পুলিশ সুপার বিগত তিন বছরের কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, পুলিশের সাথে সাধারণ মানুষের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। আর সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের সম্পর্ক আত্মীক। যাকে বলা হয় একে অপরের পরিপূরক। সুষ্ঠ ন্যায় বিচারের জন্য পুলিশের পাশাপাশি সাংবাদিকদের ভুমিকা সবচেয়ে বেশি। পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকরা জনগণের সেবার জন্যই কাজ করে যান। তাই প্রত্যেক পুলিশ ও সাংবাদিকদের উচিত অকারণে মানুষকে ভোগান্তি ও হয়রানিতে না ফেলা। এ সময় তিনি আরো বলেন, অন্য যে কোন জেলার তুলনায় হবিগঞ্জ অনেক শান্ত একটি জেলা। যা পুলিশ, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদসহ সাধারণ মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে। এক সাথে কাজ করতে গিয়ে পুলিশ
বিভাগ ও সাংবাদিকদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে। তা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। বাংলাদেশের মানুষ পুলিশ নাম শুনলে অজানা ভয়ে আতংকে উঠেন সাধারণ মানুষ। আমি হবিগঞ্জে যোগদানের পর যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি পুলিশ ও সাধারণ মানুষের দুরত্ব কমাতে। চেয়েছি পুলিশ যেন শান্তি, নিরাপত্তা ও বিশ্বস্থতার প্রতীক হয়ে উঠে। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক এডভোকেট মনসুর উদ্দিন ইকবাল, প্রতিদিনের বাণী সম্পাদক মোহাম্মদ শাবান মিয়া, বাংলা ভিশন প্রতিনিধি মোহাম্মদ নাহিজ, জনকন্ঠ প্রতিনিধি রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, একাত্তর টিভি প্রতিনিধি শাকিল চৌধুরী, মাছরাঙ্গা প্রতিনিধি চৌধুরী মাসুদ আলী ফরহাদ, এডভোকেট সফিউল আলম চৌধুরী, আব্দুল বারী লস্কর, হবিগঞ্জের বাণী সম্পাদক জিয়া উদ্দিন দুলাল, আমার সংবাদ প্রতিনিধি মীর আব্দুল কাদির প্রমুখ। পুলিশ সুপারের বক্তব্যের জবাবে সাংবাদিকগণ বলেন, পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র হবিগঞ্জের দায়িত্বে থাকাকালীন যে কাজ করে গেছেন তা গোটা পুলিশ বিভাগের জন্য অনুকরনীয় ব্যতিক্রমী হয়ে থাকবে। একজন সরকারি অফিসার সততার সাথে তার দায়িত্ব পালন করেও যে গণমানুষের হ্নদয়ে স্থান করে নিতে পারেন, তার প্রমাণ রেখেছেন জয়দেব কুমার ভদ্র। তিনি তার উদ্ভাবনী চিন্তাধারা আর কাজের মাধ্যমে মানুষের মনের গহীনে জায়গা করে নিয়েছেন। সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ.স.ম শামসুর রহমান ভূইয়া বলেন, স্যারের কর্ম ও চেতনা আমরা ধরে রাখতে পারব কিনা তা জানিনা। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একজন সুদক্ষ কর্মকর্তা হিসাবে স্যারের যে সততা-সত্যবাদিতা তা চিরকাল আমাদের অনুপ্রাণিত করবে চাকরি ও ব্যক্তি জীবনে। জীবনের কঠিন সংগ্রামকেও কত সহজে ও সাবলীলভাবে স্যার আমাদের নিয়ে অতিক্রম করেছেন। যা আমাদেরও সবসময় মানব সেবার জন্য উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছিল। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারি পুলিশ সুপার মিডিয়া নাজিম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, সদর থানার ওসি ইয়াছিনুল হকসহ পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।


     এই বিভাগের আরো খবর