,

আইন শৃঙ্খলা সভায় জেলা প্রশাসক -মনীষ চাকমা সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার \ সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে সাময়িক বাহ-বাহ পাওয়া যায়। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নবাগত পুলিশ সুপার বিধান চন্দ্র ত্রিপুরা, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক সফিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোহাম্মদ এমরান হোসেন, বিজিবি(৫৫),
ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আসাদুজ্জামান চৌধুরী, এডিএম নুরুল ইসলাম, হবিগঞ্জ পৌর মেয়র আলহাজ্ব জিকে গউছ, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী, সিভিল সার্জন ডাঃ সুচিন্ত চৌধুরী, হবিগঞ্জ প্রেসকাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আতর আলী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি অহিন্দ্র দত্ত প্রমূখ।
জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা আরও বলেন, বাহুবলে মসজিদের কমিটি ও ইমাম পরিবর্তন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন নিহত হওয়ার ব্যাপারে বলেন জেলা প্রশাসনে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা পরিচালনার নীতিমালা রয়েছে। কোন কমিটির সম্বন্ধে ঝামেলা হলে জেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে তার বাস্তবায়ন হলে অনাকাঙ্খিত ঘটনা রোধ করা সম্ভব। আসন্ন ঈদুল আযহায় যাত্রীদের যোগাযোগের সুবিধার্থে স্থানীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের অস্থায়ী গরুর হাট বসানো যাবে না। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন বিদ্যুৎ কেন আসে যায়। এ খেলাটা বন্ধ করতে হবে। হবিগঞ্জে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যুতের সার্ভিস সাবষ্টেশন স্থাপনের জন্য জায়গা নির্ধারণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
পুলিশ সুপার বিধান চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, থানায় জিডি ও মামলা নেয়ার ক্ষেত্রে পুলিশকে সতর্কতা অবলম্বনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলেন অন্যথায় ওসিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুসিয়ারী উচ্ছারণ করেন। স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েদের ইউনিফর্ম পড়ে স্কুল ফাঁকি দিয়ে হোটেল রেস্টুরেন্ট ঝোঁপ-ঝাড়ে অশালীন ভাবে চলাফেরা করতে দেয়া হবে না। পরিবারের কর্তা ব্যক্তি ও শিক্ষকদের তাদের ছেলে মেয়ে বিষয়ে সতর্ক থাকার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, অনেক উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা গোপনে মাদক ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। মাদক শুধু ইয়াং জেনারেশন নয়, অনেক পুলিশসহ নামী-দামী ব্যক্তিরাও মাদকে আসক্ত হয়ে যাচ্ছেন। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তৎপর হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, কয়েকশ ইয়াবা ফেনসিডিল উদ্ধার করলেই হবে না এর উৎস খুঁজে বের করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন। জনগণের সেবার জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করার প্রত্যয় ঘোষণা করে বলেন, কিছু লোক হয়তবা অসন্তুষ্ট হবে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এ দেশকে কোন জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের হাতে তুলে দেয়া যাবে না। জেলেরা নদীতে বিষ ঢেলে মাছ ধরছে, আর শিল্পপতিরা নদীতে বর্জ্য ফেলে পরিবেশ ধ্বংস করছে। মুখে দেশপ্রেম হলে চলবেনা, কাজের ক্ষেত্রে তার প্রমাণ দিতে হবে। তিনি বলেন, গ্রাম অঞ্চলে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে রায়েটিং হয়। অনেক সময় প্রতিপক্ষকে গায়েল করার জন্য মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। মিথ্যা মামলা দেয়ার অপরাধে বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হবিগঞ্জ পৌরসভায় ১২শ টমটমের টোকেন ফি’র মাধ্যমে অনুমতি দেয়া হলেও শহরে ৫/৭ হাজার টমটম অদক্ষ ড্রাইভার দ্বারা চলা-চল করে দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর