,

ডিড রাইটার হারুনুর রশিদ ও আঃ নুর সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

মুরাদ আহমদ ॥ নবীগঞ্জে স্বাক্ষর ও টিপসহি জাল করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রেজিষ্ট্রারী দলিল সম্পাদন করে ১৩ শতক ভূমি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে নবীগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের ডিড রাইটার হারুনুর রশিদ ও আঃ নুরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট (আমল -৫) আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সুইলপুর (ধোবারহাট) গ্রামের মৃত তমিজ উল্লাহর মেয়ে জরিনা বেগম। মমালার আসমীরা হচ্ছেন একই ইউনিয়নের সমরগাঁও গ্রামের মৃত ফটিক উল্লাহর পুত্র মোঃ আফতাব আলী, বাশকাশারা গ্রামের মৃত আব্দুস সহিদের পুত্র দলিল লিখক হারুনুর রশিদ আফসার, বাউসা ইউনিয়নের হরিধরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহিদের পুত্র দলিল লিখক মোঃ আব্দুন নুর, করগাঁও ইউপির মৃত মোঃ তাজিম উল্লাহর পুত্র মাহবুবুল আলম। মামলার এজাহারে জরিান বেগম উল্লেখ করেন, মৌজা সমরগাঁও, জেএলনং ৯৮, হাল খতিয়ান নং ১২৬৮, ডিপি ২৭৭, (২য় পৃষ্ঠায় দেখুন)  সাবেক দাগ নং ৮২০, হাল দাগ নং ১১৩৪ তফশীলের ১৩ শতক ভূমির রেকর্ডীয় মালিক ছিলেন আমার পিতা মৃত তমিজ উল্লাহ। বর্তমানে আরএস জরিপেও আমার পিতার নামে রেকর্ড হয়ে প্রিন্ট পর্চা হয়েছে। আমার পিতা মৃত্যুর পর আমার বোন হাবিজুল বিবি ও ভাই আছলম মিয়া ও শিশু মিয়া তফশিল বর্ণিত ভূমিতে সকল ওয়ারিশিয়ানদের পক্ষে পিতার দখলে দখকার থেকে নিরাপদে নির্বিবাদে ভোগ দখল করে আসছেন। ইদানিং আসামী মোঃ আফতাব আলী আমার মা ও উল্লেখিত দুই ভাইয়ের নিকট প্রকাশ করে যে আমি ও আমার বোন হাবিবুল-নেছা আফতাব আলীর নিকট নাকী উক্ত ভূমি রেজিষ্ট্রিরী কবলামূলে বিক্রি করে দিয়েছি। আমরা তা শুনে হতভাগ হয়ে তড়িৎ গতিতে আমাদের পৈত্রিক নিবাস সমরগাঁও এসে আসামী আফতাব আলীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি আমার মা ভাই ও আমাদের সামনে একটি রেজিষ্ট্রি দলিল দেখিয়ে বলেন যে আমি ও আমার বোন ১নং স্বাক্ষী হাবিবুল-নেছা নাকি তফশীল বর্ণিত ভূমি তার নিকট রেজিষ্ট্রি দলিলমূলে বিক্রি করে দিয়েছি। মামলার এজাহারে বাদিনী জরিনা বেগম আরো উল্লেখ করেন এক পর্যায়ে তিনিও তার বোন ১নং স্বাক্ষী হাবিবুল-নেছা ১নং আসামী আফতাব আলীর উপস্থাপিত রেজিষ্ট্রার দলিলের নাম্বারটি সংগ্রহ করে  হবিগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রার অফিস হতে গত ৩১ জুলাই তারিখের ১নং আসামী আফতাব আলীর উপস্থাপিত রেজিষ্ট্রি দলিল নং ১৮৩০/২০০২ এর অবিকল জাবেদা নকল সংগ্রহ করে জানতে পারেন যে, ১নং আসামী আফতাব আলী উক্ত দলিলের গ্রহিতা, ২নং আসামী দলিল লিখক হারুনুর রশিদ এবং ৪নং আসামী মাহবুবুল আলম দলিলের সনাক্তকারী হয়ে বাদিনী জরিনা বেগম এবং তার বোন হাবিবুন-নেছাকে দলিলের দাতা দেখিয়ে এবং তাদেরকে সনাক্ত করে ৩নং আসামী দলিল লিখক মোঃ আব্দুন নুর ও ৪নং আসামী মাহবুবুল আলম স্বাক্ষী হিসাবে দলিলে সাক্ষ্য প্রদান করে বাদিনী জরিনা বেগম এবং তার বোন হাবিবুননেছার রূপ দারন করিয়ে অন্য দুইজন ভূয়া মহিলা দিয়ে আসামীগণ পরস্পর যোগসাজসে বাদিনীর স্বাক্ষর ও তার বোন হাবিবুল-নেছার টিপ সহি দলিলে জাল করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ২০০২ সালের ১ এপ্রিল নবীগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে উপস্থাপন করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রেজিষ্ট্রারি দলিল নং ১৮৩০/২০০২ইং সম্পাদন করেছে এবং খাটি দলিল হিসাবে ব্যবহার করে তফশিল বর্ণিত ভোগ দখলীয় ভূমির স্বত্বের মলিনতা সৃষ্টি করে আত্মসাতের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বাদিনী ও তার বোন উক্ত দলিলে কোন স্বাক্ষর বা টিপসহি প্রদান করেন নাই এবং নবীগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে হাজির হয়ে ১নং আসামীর বরাবরে দলিল সম্পাদন করে দেননি। বিষয়টি এলাকার মুরুব্বিয়ানদের জানালে ১নং আসামী মুরুব্বিয়ানদের জিজ্ঞাসাবাদে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। উপরন্তু বাদিনী ও তার  লোকজনকে নানাভাবে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। ১নং আসামী তফশিল বর্নিত বাদিনীর পৈত্রিক স্বত্ব দখলীয় ভূমি হতে তাদেরকে উচ্ছেদ করে বেদখল করতে পারে। এমতবস্থায় বাদিনী আদালতের নিকট আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আদেশ দানে সুবিচার প্রার্থনা করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর