,

পানিউমদা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আঃ রহমান সহ ৩ জনকে ২ বছরের কারাদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার : নবীগঞ্জের পানিউমদা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের আব্দুর রহমান সহ ৩জনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদ- ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের দন্ড প্রদান করা হয়েছে। অপর দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন একই গ্রামের দুই সহোদর মোঃ রুহুল আমিন (৩৫) ও ইউসুফ আলী (৪৫)। খাগাউড়া গ্রামের বাসিন্দা (৩য় পৃষ্ঠায় দেখুন) রইছগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী নুরাজ মিয়ার দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে দায়েরকৃত দ্রুত বিচার আইনে মামলায় দোষী সাব্যস্থ করে তাদের এ দন্ড প্রদান করা হয়। হবিগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সোলায়মান মিয়া গতকাল গতকাল সোমবার এ রায় প্রদান করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালে ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ঘটনার কয়েকদিন পূর্বে বাদীর দোকানে বসে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন পানিউমদা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান। তিনি কয়েকজনকে নিয়ে দোকানে এসে তার দোকানে বসে কেউ যাতে নির্বাচনী প্রচারণা করতে না পারে সেজন্য নুরাজ মিয়াকে শাসিয়ে যান। এর প্রতিবাদ করায় তাকে হুমকি প্রদান করা হয়। এর জের ধরে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে আসামীরা ২০১৫ সনের ২৯ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে নুরাজ মিয়ার দোকান ঘেরাও করে। খবর পেয়ে নুরাজ মিয়া দোকানে আসলে আসামীরা তাকে ধাওয়া করলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের নির্দেশে আসামীরা তার দোকানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে বলে আরজিতে উল্লেখ করা হয়। এতে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়। এ সময় আসামীরা একটি রঙ্গিন টিভি ও ১০ ড্রাম তেল চুরি করে নিয়ে যায়। যার মূল্য ১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা। ঘটনার খবর পেয়ে গোপলার বাজার ও পুটিজুরী ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন দোকান মালিক নুরাজ মিয়া বাদী হয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪০/৫০ জনকে আসামীভূক্ত করে নবীগঞ্জ থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ফয়জুল বশির চৌধুরী সুজন।


     এই বিভাগের আরো খবর