,

জাতীয় গ্রিডে বড় বিপর্যয়ের শঙ্কা [অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে গোটা দেশ]

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যে কোন সময় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে গোটা দেশ। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি পিজিসিবি বলছে, ঝুঁকিতে রয়েছে সারা দেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা। ২০১৪ সালের ব্ল্যাক আউটের পর গঠিত তদন্ত কমিটির কারিগরি রিপোর্ট বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হওয়ায় গ্রিড বিপর্যয়ের ঝুঁকি দিন দিনই বাড়ছে বলেও সতর্ক করেছে তারা। ২০১৪ সালের পহেলা নভেম্বর স্মরণকালের ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কবলে পড়ে ১৫ কোটি মানুষ। ২২ ঘণ্টার চেষ্টায় স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। এরপর গত ৩ বছরে বেশ কবার ছোট খাটো কিছু বিপর্যয়ে পড়ে দেশ। সেসব সামাল দেয়া হয় পুরনো পদ্ধতিতে লোড কেটে। ২০১৪-এর ঘটনায় গঠন হয় তদন্ত কমিটি। তাদের দেয়া স্বল্পমেয়াদি পরামর্শ ছাড়া তিন বছরে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কোন পরামর্শই বাস্তবায়ন হয়নি। পিজিসিবির দাবি চুক্তি না থাকায় বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মুনাফা হারানোর ভয় এবং পিডিবির কারিগরি অক্ষমতার কারণে সেসব পরামর্শ মানা হচ্ছে না। এদিকে, ক্রমবর্ধমান চাহিদা পুরণে, চালুর অপেক্ষায় নতুন নতুন কয়লাভিত্তিক ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। পিজিসিবির শঙ্কা, এসব কেন্দ্র চালু হলে জাতীয় গ্রিডের ফ্রিকোয়েন্সির ভারসাম্য রক্ষা সম্ভব হবে না ঘন ঘন ঘটবে গ্রিড বিপর্যয়। পরামর্শকদের নির্দেশনায়, ২০১৪ এর পর পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী ১১ প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে অটো গর্ভনর এফজিও মোড চালু করে পিজিসিবি। তখন গ্রিড ফ্রিকোয়েন্সি স্বাভাবিক রাখা গেলেও এখন এফজিও মোডে চলছে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় বিপর্যয়। পিজিসিবির দাবি, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে বার বার চিঠি দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলছেন, আগামীতে সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই এফজিও মোড চুক্তি হবে। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া সংসদে পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। কার্যকরের সম্ভাবনা আছে তিন মাসের মধ্যে। দেশে এখন রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রিড বিপর্যয় বন্ধ করা না গেলে বিদ্যুৎ খাতের এ সাফল্য কোন কাজেই আসবে না।


     এই বিভাগের আরো খবর