,

বানিয়াচংয়ে জেলা প্রশাসকের হুশিয়ারী দুর্নীতি করলে সরকার বরদাস্ত করবেনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচংয়ে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা বলেছেন, দুর্নীতিমুক্ত বংলাদেশ গড়তে সরকার প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন ১৩০ ভাগ বৃদ্ধি করেছে। এত বাড়ানোর পর দৈনন্দিন বা মাসিক চাহিদা মেটানোর জন্য কারো ঘুষ খাওয়ার বা অনিয়ম-দুর্নীতি করার প্রয়োজন থাকার কথা নয়। এখন কেউ দুর্নীতি করলে বিলাসিতার জন্য করবে। গাড়ি-বাড়ি-ফ্ল্যাট করার করবে। তাই কেউ বিলাসিতার জন্য দুর্নীতি করলে সরকার বরদাস্ত করবেনা। গতকাল সোমবার উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি আরো বলেন, সরকার তথ্য অধিকার আইন করেছে জনগণের তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। যেকোন তথ্যের জন্য যেকেউ আবেদন করলে তথ্য দিতে হবে। তথ্য না দিলে বা দিতে গড়িমসি করলে যত বড় কর্মকর্তাই হোন শাস্তি পেতে হবে। তিনি বলেন, সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, অবকাঠামোসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করলেও এর যথাযথ প্রচার হচ্ছেনা। কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একটি গরু দিলে সেই প্রতিষ্ঠান তার খবর ছবিসহ জাতীয় পত্রিকায় প্রচার করায়। কিন্তু সরকারের কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডের খবর সরকারী প্রতিষ্ঠান প্রচার করায় না। যে সরকার উন্নয়ন করে সেই সরকার ক্ষমতার থাকার জন্য সরকারের উন্নয়নের প্রচার জনগণের মধ্যে করতে হবে। জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা আরো বলেন, এ বছর আগাম বন্যায় হবিগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামঞ্জ জেলার ফসলহানি ঘটেছে। কিন্তু শুধুমাত্র সুনামগঞ্জের জন্য বিআর ২৮ ধান বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। আমি হবিগঞ্জ জেলায় বরাদ্ধ দেয়ার জন্য সচিবালয়ে চিঠি লিখেছি। তিনি স্কুলে ওয়াশ ব্লক নির্মাণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আপনারা নিচ থেকে সবকিছুর চাহিদা দিয়ে প্রকল্প তৈরী করে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পাঠাবেন। শিক্ষা অধিদপ্তর একটি স্কুল ভবন তৈরী করতে পারবে আর এর সঙ্গে একটি ওয়াশ ব্লক তৈরী করে দিতে পারবেনা তাতো হতে পারেনা। তিনি এক বছরের বরাদ্ধ ওই বছর কাজে লাগতে না পারলে পরবর্তী বছরের জন্য জমা না রেখে টাকা ফেরত পাঠানোর পরামর্শও দেন। ইউএনও সন্দ্বীপ কুমার সিনহার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ বশীর আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানিয়া খানম, আওয়ামীলীগের সভাপতি আমির হুসেন মাস্টার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল খালেক, কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা ইকবাল আজাদ, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী, ওসি মোজাম্মেল হক, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শামছুল হক, ওয়ারিশ উদ্দিন খান, গিয়াস উদ্দিন, রেখাছ মিয়া, হাবিবুর রহমান, আবুল কাশেম চৌধুরী, লুৎফুর রহমান, আব্দুল আহাদ, আনোয়ার হোসেন, বানিয়াচং সিনিয়র মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মুফতি আতাউর রহমান, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বিপুল ভূষণ রায় ও সাংবাদিক তোফায়েল রেজা সোহেল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহ মোঃ এনামুল হক, উপজেলা প্রকৌশলী আল-নুর তারেক, উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শেখ নমীর আলী, বানিয়াচং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হোসেন খান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সুলতান সারোয়ার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাওছার শেকরানা, মৎস্য কর্মকর্তা মাকসুদুল হক ভূঁইয়া, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল, সমবায় বকর্মকর্তা দেবাশীষ দেব, ইউপি চেয়ারম্যান মধু মিয়া তালুকদার প্রমূখ।


     এই বিভাগের আরো খবর