,

নবীগঞ্জে ৬৫ বয়সের শিশু বিবির ভাগ্য জুটেনি বয়স্ক ভাতা

জসিম তালুকদার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ১২নং কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের কালিয়ারভাঙ্গা গ্রামের মোঃ আঞ্জব উল্লাহর মেয়ে  শিশু বিবি। বয়স ৬৫ পেরিয়ে গেলেও তিনি বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন না। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম এর নিকট বার বার ধর্না দিলেও কোন কাজের কাজ হয়নি। তাছাড়া গ্রামের মেম্বার আঃ
নুর মিয়ার কাছে অনেক বার গিয়েছেন বয়স্ক ভাতার জন্য। কিন্তু তাতেও কোন ফল পাননি। শিশু বিবির বয়স যখন ১৬ বছর তখন তার বিয়ে হয় নবীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দেব পাড়া ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের হাজী কালাই মিয়া’র সাথে। বিয়ের পর তাদের এক পঙ্গু ছেলে জন্ম নেয়। তার নাম হারুন মিয়া। তার কিছু দিন পর শিশু বিবির স্বামী হাজী কালাই মিয়া মারা যান। মারা যাওয়ার পর তিনি পিত্রালয়ে চলে যান। তিনি বলেন, বাবাও নাই স্বামীও নাই আমি পরের বাড়ীতে থাকি আর আমার ছেলে হারুন মিয়াকে নিয়ে ভিক্ষা করে পেট চালাই। প্রায় ২২ বৎসর ধরে এ পেশায় তিনি। নিজস্ব কোন বাড়ী ঘর না থাকার কারণে গ্রামের মটাই মিয়া ও জলাই মিয়ার বাড়ীতে বসবাস করেন। বয়স বেশি হওয়ার কারণে কোন বাসা বাড়ীতে কাজ করতে পারছেন না তিনি। ছেলে পঙ্গু হওয়ার কারণে শেষ বয়সে ছেলেকে নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। নিজ মালিকাধীন কোন বাড়ী ঘর না থাকায় তাকে থাকতে হচ্ছে পরের বাড়িতে। ভোটার আইডি কার্ডে তার বয়স ৬৫ হলেও প্রকৃত পক্ষে তার বয়স হবে ৭০ বছর। বয়সের ভারে ন্যুজ শিশু বিবি বয়স্ক ভাতা পেতে সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর