,

বাহুবলের স্নানঘাট বাজারে হাতুরে ডাক্তার ॥ প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের স্নানঘাট গ্রামের অধিকাংশ অধিবাসীই নিরর, দরিদ্র-অতিদরিদ্র এবং মৎস্যজীবি সম্প্রদায়। এ সুযোগে কুমিল্লা থেকে আগত ডাক্তার পরিচয়ে শামছুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ওই বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে চিকিৎসা ব্যবসা চালাচ্ছে। তার বাচালতায় আকৃষ্ট হয়ে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। যে কোন রোগী গেলেই সাদা প্যাডে ঔষধের নাম লিখে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। আবার ঔষধও তার কাছ থেকেই নিতে হচ্ছে রোগীদের। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যে, তার দেয়া ব্যবস্থাপত্রে রোগের কোন পর্যবেক্ষণ, প্রতিকার পরামর্শ বা বিবরণ লিখেননি। এমন কি নিজের স্বাক্ষরও দেননি। এমন কয়েকটি ব্যবস্থাপত্র বাহুবল সাংবাদিকদের হস্তগত হয়েছে। ওই ব্যবস্থাপত্র দেখে বাহুবলের একজন চিকিৎসক বলেন- ‘এরকম প্রেসক্রিপশন লিখা অবশ্যই বৈধতা রাখেনা ওই চিকিৎসক ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে’। এদিকে কথিত ওই ডাক্তারের ঔষধ খেয়ে গ্রামের বৃদ্ধ গণি মিয়া, তার স্ত্রী ও আব্দুল নূর মিয়া প্রতিক্রিয়ায় পতিত হন বলে জানান। আর এ বিষয়টি অনেকেই স্বীকার করেন। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। স্থানীয় রোগীসহ লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে ওই ডাক্তার নিজেকে পাশ করা ডাক্তার বলেই এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে প্রচার করে নিজের অবস্থানকে পাকাপোক্ত ও বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করছেন। খোজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি স্নানঘাট গ্রামের আমির আলীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এ ব্যাপারে তার (ডাক্তার!!) সাথে আলাপ করতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক নন বলে উপস্থিত রোগীদের পরে আসার কথা বলে বিদায় করে দেন এবং নিজে ওজর দেখিয়ে চলে যান। এ ব্যাপারে তার আশ্রয়দাতা আমির আলীর সাথে কথা বলতে তার খোজ করলে তিনি টের পেয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে বিশেষ করে ওই কথিত হাতুরে চিকিৎসকের কতিপয় দালালরা ােভের আগুণে জ্বলতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন আমাদের প্রতারণা থেকে বাচাঁলেন।


     এই বিভাগের আরো খবর