,

নদীর ভাঙ্গণের কবলে আজমিরীগঞ্জের সৌলরী গ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেও ইউনিয়নের মনিপুর, সৌলরী, বদলপুর, জয়নগর, কাদিরপুরসহ কয়েকটি গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার কালনী-কুশিয়ারা (ভেড়ামোহনা) নদীর তীব্র ভাঙ্গণের কবলে পড়েছে। ইতো-মধ্যে মনিপুর গ্রামের জামে মসজিদ ও মসজিদের টিউওবয়েল সৌলরী জামে মসজিদের ঘাটলাসহ অর্ধ শতাধিক বাড়ি ঘর নদী ভাঙ্গণে বিলীন হয়ে গেছে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিন কোন না কোন বাড়ি বশত ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। সৌরলী গ্রামের বাসিন্দা শেখ মিলন মিয়া জানান, গতকাল ৩ দিনের বৃষ্টিতে নদী পানি বাড়ার সাথে সাথে সৌলরী মনিপুর গ্রামের মসজিদ ও টিউবয়েল, সৌলরী গ্রামের মসজিদের ঘাটলা, আব্দুল করিম, আবুল ফয়েজ মিয়া বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গণে কবলে পড়েছে শেখ মিলন. নুরুল আমিন, মজিবুর রহমানসহ অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর ও ভাঙ্গণের কবলে পড়েছে। ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুল জানান, যুগ যুগ ধরে বশত করে আসা মানুষের বাড়ি ঘর ও মাথা গৌছার স্থান বিলীন হয়ে যাওয়ায় এখন মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। আবার অনেক মানুষ তাদের বাড়ি ভাঙ্গণের আতংকের মধ্যে রয়েছেন। আজমিরীগঞ্জের বিশিষ্ট মুরব্বী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিষ্ঠাতা কমান্ডার মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী জানান, তড়িৎ প্রদক্ষেপ না দেয়া হলে মনিপুর, সৌলরী থেকে কাদিরপুর, জয়নগর ঋষি পাড়া পর্যন্ত এক কিলোমিটার এলাকার নদী ভাঙ্গণে বিলীন হয়ে যাবে। নদীর প্রবল ¯্রােত ও ঢেউয়ে তান্ডব রক্ষার জন্য জরুরী ভিত্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বাশের আড়া (স্থানীয় ভাষায় ভান্ডা) না দেয়া হলে এলাকার কোন বাড়ি ঘর ও বশত ভিটা রক্ষা পাবে না। এ বিষয়টি আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আতর আলী মিয়া জানান, আমি জেলা সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসকে নদী ভাঙ্গণের বিষয়টি অবগত করেছি। মানুষজন বসবাস করার কোন স্থান পাবে না। আমি আশা করছি, এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন জরুরী ভিত্তিতে প্রদক্ষেপ নেবেন। আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী পুলক কান্তি চক্রবর্তী জানান, নদী ভাঙ্গণ কবলিত এলাকা সরে জমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তাওহিদুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙ্গণ এলাকায় প্রতিমিটার কাজ করতে আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন। নদী ভাঙ্গণের ১৯টি পয়েন্ট চিহ্নিত করে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সৌলরী এলাকার নদী ভাঙ্গণ রোধে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকতকে দুয়েক দিনের মধ্যে সরে জমিনে এলাকা পরিদর্শনে পাঠানো হবে। আপাতত ভাঙ্গণ ঠেকানোর জন্য বাশের আড়া দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন- ইতো-মধ্যে পাহারপুর ও কাকাইলেও বাজার নদী ভাঙ্গণের কবল থেকে রক্ষার জন্য প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আশাকরি শ্রীঘই সৌলরী এলাকায় নদী ভাঙ্গণ রোধে প্রকল্প তৈরী করে তা বাস্তবায়ন করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর