,

৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে নিশ্চিত হয়েছে জনগণের ভোটাধিকার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এরশাদের পতন ঘটিয়েছে। খালেদা জিয়াকে গদি থেকে নামিয়েছে। ইয়াজউদ্দিন ও আওয়ামী লীগের আন্দোলনে ঠিকতে পারে নাই। আওয়ামী লীগ সফল হয়েছিল, কারণ আমাদের সাথে জনগণ ছিল। বিএনপি মনে করেছিল তারাও আওয়ামী লীগকে মতা থেকে নামিয়ে দিবে। কিন্তু তাদের সাথে জনগণ ছিল না। এমনকি তাদের অনেক নেতাও বিএনপির সাথে ছিল না। ফলে ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন হয়েছে। সেদিন যদি নির্বাচন না হতে তাহলে সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা আসতো। জনগণের ভোটের অধিকার থাকতো না। এই নির্বাচনে নিশ্চিত হয়েছে জনগণের ভোটাধিকার। বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলেছিল। কিন্তু ৬ হাজারের উপরে নির্বাচন হয়েছে এ সরকারের আমলে। কিন্তু কোথাও কোনো কারচুপি হয় নাই। আওয়ামী লীগ যদি বিএনপির মতো ভোট ডাকাতি করতো তাহলে রংপুরে আওয়ামী লীগ পরাজিত হতো না। হবিগঞ্জ-১ আসনে উপ নির্বাচন ডাঃ মুশফিক পরাজিত হতেন না। হবিগঞ্জ পৌরসভায় জিকে গউছ মেয়র না হয়ে শরীফ উল্লাহ মেয়র হতেন। বিএনপি নিজেরো ভোট ডাকাতি করে বলে কাউকে বিশ্বাস করে না। ৫ জানুয়ারী গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল রাতে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন, এমপি আবু জাহির বলেন, হবিগঞ্জের রাজপথ এখন আওয়ামী লীগের দখলে। ৩১ ডিসেম্বর বিজয় মিছিল ও ৪ জানুয়ারী ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে এর প্রমাণ হয়েছে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। কারণ ২০২১  সালে বঙ্গবন্ধুর ১০০ বছর হবে এবং দেশের হবে ৫০ বছর। সেই ঐতিহাসিক মুহুর্ত উদযাপন করতে হবে। এর জন্য আওয়ামী লীগের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড জনগণকে জানাতে হবে। দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা পরিষদ সদস্য এডভোকেট সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী, মুকুল আচার্যী, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য দেওয়ান মিলাদ গাজী, এডভোকেট আফিল উদ্দিন, অনুপ কুমার দেব মনা, আবুল কালাম আজাদ, উপ প্রচার সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মোছাব্বির বকুল, উপ-দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান, সৈয়দ কামরুল হাসান, এডভোকেট সুমঙ্গল দাশ সুমন, এডভোকেট আফজাল আলী দুদু, এডভোকেট কনক জ্যোতি সেন রাজু, এডভোকেট আব্দুল মুনাতিকন চৌধুরী খোকন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, কৃষক লীগ সভাপতি হুমায়ুন কবীর রেজা, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুকিদুল ইসলাম মুকিদ ও আওয়ামী সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি এডভোকেট নুরুল ইসলাম চৌধুরী।


     এই বিভাগের আরো খবর