,

আজ শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু ॥ উদ্বোধন করবেন এমপি এডভোকেট আবু জাহির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ বুধবার হবিগঞ্জবাসীর বহু দিনের স্বপ্ন শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে। ওই দিন সকাল ১০টায় ক্লাশ শুরু উপলক্ষে বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মেডিক্যাল কলেজ কতৃপক্ষ। কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের সামনে বিশাল প্যান্ডেলে জেলার সর্বস্তরের লোকজনের উপস্থিতিতে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির। শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবু সুফিয়ান জানান, আজ ১০ জানুয়ারী সারা দেশের মেডিক্যাল কলেজ গুলোতে ক্লাশ শুরু হবে। হবিগঞ্জে যেহেতু এবার মেডিক্যাল কলেজের যাত্রা শুরু হবে তাই বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালের নব-নির্মিত ২৫০ শয্যা ভবনের ৫ম ও ৬ষ্ট তলায় অস্থায়ী ক্যাম্পাস করা হয়েছে। হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির জানান, ইতোমধ্যে কলেজের সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কোন ব্যাক্তির নামে প্রথম প্রতিষ্ঠান ও সাইনবোর্ড এটি। হবিগঞ্জ জেলায় বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করায় আমার প্রস্তাবে এই নাম করণ করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ শহরের নিউফিল্ড মাঠে আওয়ামী লীগের বিশাল জনসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি জনগনের পক্ষে হবিগঞ্জে মেডিক্যাল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যায়, শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা ও বাল্লা স্থলবন্দর আধুনিকায়ন করার দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি মেডিক্যাল কলেজ, একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা ও বাল্লা স্থলবন্দরকে আধুনিকায়নের ঘোষণা দেন। দুই মাসের মধ্যে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মাহমুদা আক্তার ২৪/(১০) স্মারকে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেন হবিগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে। ঘোষনার অল্প সময়ের মাঝে প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়ায় হবিগঞ্জবাসী নতুন আশায় বুক বাধেন। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে হবিগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ চালুর কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়ার পরও ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে শিার্থী ভর্তির কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। পরে ২০১৬-১৭ শিাবর্ষে শিার্থী ভর্তির জন্য আবারও উদ্যোগ নেয়া হয়। অস্থায়ী ক্যাম্পাস নির্ধারন করা হয়েছিল নির্মানাধিন ২৫০ শয্যা ভবনকে। সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবু সফিয়ানকে নিয়োগ করা হয় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ওই শিক্ষাবর্ষেও শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়নি। পরবর্তীতে এমপি আবু জাহির সংসদে ও সংসদের বাইরে বারবার বিষয়টি উত্থাপন করলে এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার পর অবশেষে চলতি শিক্ষাবর্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষকও পদায়ন করা হয়েছে এই মেডিক্যাল কলেজে। ছাত্রীদের জন্য হোস্টেল নির্ধারণ করা হয়েছে হবিগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালকে। ছাত্রদের জন্য অনন্তপুর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেওয়া হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর