,

বানিয়াচংয়ে জুয়ায় বাধা দেওয়ায় মেম্বারকে কুপিয়ে গুরুতর আহত

 আনোয়ার হোসেন ॥ বানিয়াচং সদরে মিনাট গ্রামে দিনে দুপুরে জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় স্থানীয় ২নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার ইনছাব আলীকে কুপিয়ে আহত করেছে সাবেক মেম্বার হাফিজ মিয়ার লোকজন। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আহত সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ১১টায় জুয়া খেলা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ারিশ উদ্দিন খান বানিয়াচং থানার পুলিশ ও ওই ওয়ার্ডের মেম্বার ইনছাব আলীকে নিয়ে মিনাট গ্রামের কুরফান উল্লার পুত্র ইমরানের বাড়ীতে যান। চেয়ারম্যান ও পুলিশ আসার খবর আঁচ করতে পেরে জুয়ারীরা পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর ইনছাব আলী (মেম্বার) জব্বর মিয়ার দোকানের সামনে দাড়ালে মিনাট গ্রামের সাবেক মেম্বার হাফিজ মিয়ার নির্দেশে তার ভাই আবুল মিয়া, পুত্র ইয়াছিন মিয়া, ভাতিজা শাহ আলম মিয়া ও আলমগীর এবং কুরফান উল্লার পুত্র মধু মিয়া রামদা, সাবুল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে। এ সময় রামদার কুপ ঠেকাতে গিয়ে ইনছাব আলী বাম হাতে মারাত্মক জখম হয়। পরে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ইনছাব আলীকে হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে জরুরী বিভাগে আহত ইনছাব আলী (৬৫) এর হাতে ১৩টি সেলাই দেওয়া হয়। জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ারিশ উদ্দিন খান জানান জুয়ারী পালিয়ে গিয়ে আমি ও পুলিশের অনুপস্থিতিতে বয়স্ক একজন মেম্বারকে কুপিয়ে আহত করা অত্যন্ত জঘন্যতম কাজ। তিনি আরও বলেন জুয়ারী ও মাদকসেবী যারাই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। এদিকে গত পরশু শনিবার সন্ধা সাড়ে ৭টায় কালী স্থানীয় বাড়ী মেলা থেকে জুয়া খেলার সময় বানিয়াচং আমিরখানী গ্রামের মাতাব মিয়ার পুত্র জুনাইদ মিয়া (৩২), সেন পাড়ার বিমল সুত্রধরের পুত্র বিপ্লব সুত্রধর (২০) ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধল গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র হিরাই মিয়া (২৩) কে আটক করেন বানিয়াচং থানার এস আই সাইফুল মোল্লা। পরে রাত সাড়ে ৯টায় এ এস আই আবুল খায়ের বাদী হয়ে ৩ জুয়ারীর বিরুদ্ধে ১৯৬৭ সনের জুয়া আইনের ১১ ধারায় মামলা দায়ের করে রবিবার সকালে কোর্টে প্রেরণ করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর